আব্দুল হাকিম, বাংলাবাজার, ভোলা : ভোলা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মচারীরা টানা দুই দিন কর্মবিরতি পালন করছে। সরকার নির্ধারিত পে-স্কেল এবং বেতন-বোনাস দ্রুত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গুলোতে কার্যকর করার দাবীতে এ কর্মবিরতি পালন করছে।
গতকাল সোমবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত এবং আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত কর্মবিরতি কার্যকর ছিল। তারা সকাল সাড়ে নয়টায় আরইবি’র সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ডুকে আরইবি’র সবাইকে বের করে রুমে তালা লেগে দেয়। একটুপর আরইবি’র কনসাল্টেন্ট প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ কনসাল্টেন্টের রুমেও প্রবেশ করে। এ সময় কনসাল্টেন্টের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক হয়। পরে কনসাল্টেন্টের সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা সেখানেও তালা লেগে দেয় । তারা সমিতির মূল-ফটকে চলাচলে প্রতিবন্ধকা সৃষ্টি করে। এ সময় তাদের দাবীদাওয়া সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ট বহন করে।
আরইবি’র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুভাস চন্দ্র দাস সাউদ বাংলা কে জানান- তিনি পটুয়াখালী অঞ্চলের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দিপঙ্কর মণ্ডল স্যারকে জানিয়েছি। তিনি আরইবি’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
রিটেইনার প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার শামছুল হক জানান- আমাদের এখন জুন ক্লোজিং হচ্ছে, এ সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে ঈদের আগে আমাদের কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এ দিকে লাইন ম্যান ইন্সপেক্টর রিয়াজ জানান- সরকার নির্ধারিত পে- স্কেল এবং বেতন-বোনাস অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে কার্যকর হলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে কার্যকরের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তিনি জুলাইয়ের মধ্যেই যেন সরকার নির্ধারিত পে-স্কেল এবং বেতন-বোনাস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে কার্যকর করা হয়, সে ব্যাপারে জোর দাবী জানান।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস