স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান সরকার সেই পরিবর্তন আনতে কাজ করে চলেছে। প্রযুক্তি নির্ভর লেখাপড়া ছাড়া প্রযুক্তির বিশ্বায়নে কেউ সমান্তরালভাবে এগোতে পারবে না। এজন্য আমাদের নির্ভর লেখাপড়ায় বেশি জোর দিতে হবে। দক্ষতা ছাড়া চাকরি মিলবে না, গতানুগতিক লেখাপড়া করে মানুষ বেকার থাকছে। বিশ্বব্যাপী যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে, এমন প্রেক্ষাপটে শুধু দক্ষ একজন নাগরিক হিসেবে নয়, ভাল মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে। আর ভালমানুষ হিসেবে গড়ার এই দায়িত্ব শিক্ষকদের। পরিবারের পর এক শিক্ষককই পারেন একজনকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। এ জন্য শিক্ষক সমাজকে আরও মনোনিবেশ করতে হবে তাদের পেশায়।
আজ দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ল্যাব স্থাপন করার জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন।
এর আগে গতকাল শনিবার মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের উপজেলা মডেল স্কুলের প্রকল্প পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন ৭টি করে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট মডেম ও সাউন্ড সিস্টেম পাচ্ছে দেশের ৩১০টি উপজেলা মডেল বেসরকারি স্কুল।
জানা গেছে, মডেল প্রকল্পভুক্ত সারাদেশে স্কুলের সংখ্যা ৩১৫টি। তবে পাঁচটি স্কুলের মামলা অনিষ্পত্তির কারণে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট মডেম ও সাউন্ড সিস্টেম পাচ্ছে না।
প্রকল্প পরিচালক জানান, সরকার দেশের ১৫০টি বিদ্যালয়ে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করেছে। আরো ১৬০টি বিদ্যালয়ে আইসিটি ল্যাব স্থাপনের জন্য কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান করবে। এ খাতে সরকারের প্রায় ৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে।