দিদার শফিক : খেজুর পানীয় এর সাথে সাথে প্রতিদিন ইফতারে থাকছে দেশীয় ফলমূল, ভাজা-পোড়া এবং মাংসের তৈরি কাবাবসহ নানান ধরনের খাদ্য সামগ্রী। নানারকম ভাজা-পোড়া এবং মাংসের তৈরি কাবাবসহ নানান উপাদেয় খাদ্য রমজান মাসে বাংলাদেশে ইফতারের অন্যতম আকর্ষণ।ঢাকার চকবাজার রমজানে ইফতার বাজার হিসেবে সুপরিচিত। পুরনো ঢাকার চকবাজারের স্থানীয়রা বলেন, ইফতারে এধরণের মুখরোচক খাবারের চল আছে শত-শত বছর ধরে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘মোগল আমল থেকে এই ঐতিহ্যটি তৈরি হয়েছে’ রমজান মাসে বিকেল হলেই চকবাজারের রাস্তার ওপরেই বসে ইফতারের খাবারের দোকান। ক্রেতাদের ভিড় আর দোকানিদের ব্যস্ততায় জমে ওঠে ইফতারের খাবারের দোকানগুলো। এখানকার দোকানগুলো গোটা পোড়া মুরগি, খাসির পা, নানারকম কাবাব, ফলমূল, নানাধরনের পানীয়সহ ইফতারের বিভিন্ন খাবার বিক্রি করে। পারিবারিক ব্যবসা হিসেবেই অনেকে চকে রমজান মাসে ইফতার বিক্রি করেন।
বংশপরম্পরায় চকবাজারে ইফতার বিক্রি করতে আসা মিন্টু মিয়া বলেন, ‘আমার দাদারা বিক্রি করেছে, নানারা বিক্রি করেছে এখন আমরা বিক্রি করতাছি। বাপ-দাদারা বলছে নওয়াবদের বাবুর্চির কাছ থেকে উনারা শিখছে। উনাদের কাছ থেকে আমরা শিখছি।’
দোকান ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ইফতারি আইটেমের মধ্যে, সুতি কাবাব ২৫০-৪০০ টাকা কেজি, কবুতরের রোস্ট ১১০-১৩০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ৬০-৭০ টাকা, আস্ত মুরগির রোস্ট ২৫০-৩০০ টাকা, খাসির রানের রোস্ট ৪০০-৬০০ টাকা, শিক কাবাব ৩০ টাকা, কিমা পরটা প্রতিটি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া এক কেজি ওজনের একেকটি শাহী জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দেড় কেজি ওজনের শাহী জিলাপির দাম ১৮০ টাকা, দই বড়া ২০০ টাকা কেজি, চিকেন কাটলেট ১৫০ টাকা এবং ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দুধ থেকে তৈরি পানীয় ‘লাবাং’।
ফলের মধ্যে পেঁপে ও বাঙ্গি ১০০-১৩০ টাকা কেজি, ‘দেশি’ আতা ৩০-৫০ টাকা প্রতিটি, আনারস ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেলো চকবাজারে।
এছাড়া শশা, ধনিয়া পাতা, ছোলা, বুট, সিঙ্গারা, সমোচা, নিমকি, আলুর চপ, ঘুগনি, মুড়ি, চানাচুরসহ মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তো রয়েছেই।
সাধ্যের মধ্যে একদিন আপনি খেয়ে আসতে পারেন চাক বাজারের বাহারি ইফতারি।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর