শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

বিপিসির দেনা শোধ হলে তেলের দাম কমানো হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ধার-দেনা শোধ হলে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। তিনি আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্বে স্বতন্ত্র সাংসদ হাজী মো. সেলিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নকর্তা সাংসদের উদ্দেশে বলেন, যখন বিশ্ব বাজারে ডিজেলের দাম অতিরিক্ত ছিল, তখন ভর্তুকি দিয়ে কম দামে ডিজেল বিক্রি করতে হয়েছে। ফলে বিপিসির হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ হয়েছে। প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা তাদের ঋণ আছে। এ ছাড়া ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসেবে তাদের অনেক টাকা বাকি আছে। এখন বোধ হয় কিছুটা সাশ্রয় করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বেড়েছিল, তখন কিন্তু এ দাবি ওঠেনি যে যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে, আমরাও বাড়াই। বরং এক, দুই টাকাও দাম বাড়ানো হলে হরতাল, ধর্মঘট হয়েছে। এখন যে অবস্থাটা আছে তাতে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কিছু টাকা আয় করে তাদের ঋণটা শোধ করছে। এরই মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাট, ট্যাক্সও পরিশোধ করতে হবে। এখনো প্রায় ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে। এত দিন যে আমরা ডিজেল কেনার জন্য ভর্তুকি দিলাম, ঋণ নেওয়া হলো, সেগুলো আগে শোধ করে দেব। ধার-দেনা শোধ করার পর প্রয়োজন হলে আমরা দাম কমাব।

বিনিয়োগে বাংলাদেশ উপযুক্ত জায়গা
আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলী আজমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। আরও অনেক বিনিয়োগ হবে। বিনিয়োগে বাংলাদেশ উপযুক্ত জায়গা। এখানে কর্মঠ যুব সমাজ রয়েছে।
জাতীয় পার্টি সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন কূপ খনন করে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিনিয়োগ যত পরিমাণ আসছে, সেই তুলনায় আমাদের গ্যাসের কিছুটা সংকট আছে। আমরা এটা নিয়ে সিসমিক সার্ভে করিয়েছি। এর মাধ্যমে কোথায় কোথায় গ্যাস রয়েছে, সেটা দেখে নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি। গ্যাস সংযোগ কিন্তু আমরা দিচ্ছি। তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগে আমরা কিছুটা নিরুৎসাহিত করছি। এ জন্য সিলিন্ডার গ্যাস যাতে বাসাবাড়িতে ব্যবহার হয়, তার জন্য সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদনের যারা এগিয়ে আসবে, তাদের ক্ষেত্রে কর ও শুল্ক মুক্ত রেওয়াত দেওয়া হচ্ছে। যাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা আসেন এবং এ খাতে বিনিয়োগ করেন।
হাজী সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না—এ তথ্য কোথা থেকে পেলেন তা জানি না। জাপান, চীন, ভারত, কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় দেশগুলো সবাই বিনিয়োগ করছে। জাপান এখানে ছয় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ বিনিয়োগের জন্য লাইন দিচ্ছে। তাদের কাছে বাংলাদেশ হচ্ছে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা।

বাংলাদেশে আইএস নেই
সরকার দলীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে কতিপয় সংগঠন ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকলেও এ দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নীতিতে বিশ্বাস করে। যেকোনো জঙ্গিবাদকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলায় আমরা বদ্ধ পরিকর। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশকতার মামলায় যারা জামিন পেয়েছে, তারা যাতে পুনরায় অনুরূপ অপতৎপরতা চালাতে না পারে, সে জন্য তাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ