শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫ ।। ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ৭ রমজান ১৪৪৬


শরীরে অপর্যাপ্ত প্রোটিনে যা ঘটে...

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রোটিন মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ জৈব অণু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং টিস্যু মেরামতসহ বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপের জন্য অপরিহার্য একটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। এটার প্রচুর গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অনেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না-ও করতে পারেন, যার ফলে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ জানা  জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রোটিনের ঘাটতির কিছু লক্ষণ—

১. পেশীতে দুর্বলতা এবং ক্লান্তিভাব,
পর্যাপ্ত প্রোটিন না পেলে, শরীর তার শক্তির চাহিদা পূরণের জন্য পেশী-টিস্যু ভেঙে ফেলতে পারে, যার ফলে পেশী ক্ষয়, দুর্বলতা এবং ক্রমাগত ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কারণ, প্রোটিন পেশী রক্ষণাবেক্ষণ এবং শক্তি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

২. চুল, ত্বক এবং নখের সমস্যা,
প্রোটিন হলো চুল, ত্বক এবং নখের গঠন উপাদান। এর ঘাটতির ফলে চুল পাতলা হওয়া, চুল পড়া, ভঙুর নখ ও শুষ্কতা এবং অস্থিরতার মতো ত্বকের সমস্যা হতে পারে। শরীরে সুস্থ টিস্যু কাঠামো বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব হলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়।

৩. বারবার সংক্রমিত হওয়া
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যক। এর ঘাটতি শরীরের পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধক কোষ এবং অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে, যার ফলে সংক্রমণ এবং অসুস্থতার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৪. ক্ষত নিরাময় হতে দেরি হওয়া
টিস্যু মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। প্রয়োজন পরিমাণ প্রোটিন না থাকা শরীরের ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতাকে ধীর করে দিতে পারে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে কার্যকরভাবে পুন:নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানের অভাব থাকে।

৫. মেজায পরিবর্তন এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতা
প্রোটিন থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো নিউরোট্রান্সমিটারের পূর্বসূরী, যা মেজায এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোটিনের অভাব হলে তা মেজাযের পরিবর্তন, খিটখিটে ভাব এবং মনোযোগ ও মানসিক স্পষ্টতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ