গাড়িতে কিংবা হেঁটে কোথাও যাচ্ছেন। রাস্তার একপাশে ভ্যানে থাকা কতবেল চোখে পড়বে। হাটবাজারে এখন নানা আকারের কতবেল দেখা যায়। এটি দেখতে বেলের মতো হলেও স্বাদে-গন্ধে রয়েছে অনেক পার্থক্য। শক্ত খোলসে আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের ফল কতবেল।
পাকা কতবেলের ঘ্রাণ মন ভরিয়ে দেয়। লবণ আর ঝাল দিয়ে কতবেল খেতে অতুলনীয়। পাকা ফল ফাটিয়ে অথবা ছিদ্র করে লবণ আর ঝাল দেওয়া হয়। এরপর কাঠি দিয়ে এ ফলের শাঁস খেতে হয়। এ ছাড়া মরিচ, লবণ দিয়ে ভর্তা করেও কতবেল খাওয়া যায়। কতবেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন সি বিদ্যমান
আসুন জেনে নিন, কতবেলের পুষ্টিগুণের কথা।
১. কতবেলে আছে ভিটামিন ‘সি’। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কেটে গেলে বা ক্ষত হলে কতবেল খেতে পারেন। এতে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
২. কতবেলে ট্যানিন নামক একধরনের উপাদান থাকে, যা ডায়রিয়া এবং আমাশয় প্রতিরোধ করে।
৩. হৃৎপিণ্ড এবং লিভার ভালো রাখতে চাইলে কতবেল খেতে পারেন। কারণ কতবেলের থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন হৃৎপিণ্ড এবং লিভার সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
৪. যাঁদের হজমের সমস্যা আছে, তাঁরা কতবেল খেতে পারেন। হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে দূরে রাখে কতবেল।
৫. কতবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কতবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
৬. কতবেলে আছে বিটা ক্যারোটিন। যা থেকে ভিটামিন ‘এ’থেকে তৈরি হয়। ভিটামিন ‘এ’চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
এনএ/