মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ।। ১১ চৈত্র ১৪৩১ ।। ২৫ রমজান ১৪৪৬


জাবি চারুকলায় আরবি ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা; শিল্পচর্চায় নান্দনিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এবিসি জাবের

নান্দনিকভাবে ভাষার লিখিতরূপকেই আমরা ক্যালিগ্রাফি বলে থাকি। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ভাষায় ক্যালিগ্রাফি চর্চা হয়ে এসেছে যার প্রমাণ আমরা পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখতে পাই। ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে আমরা সভ্যতা, সংস্কৃতি ও তৎকালীন প্রচলিত ভাষা সম্পর্কে জানতে পারি তাই ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে লিখিত পুরাকীর্তির পাঠোদ্ধারও ইতিহাস চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত।

প্রাচীন আরবে ক্যালিগ্রাফির চর্চা তেমন ছিল না কারণ জাতিগতভাবে তারা স্মৃতিশক্তির উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং মুখস্তবিদ্যায় তাদের ছিল বিশ্বব্যাপী সুনাম। কিন্তু ইসলামের আগমন পরবর্তীকালে ঐশীবাণী কুরআন সংরক্ষণ ও হাদিস লিপিবদ্ধকরণ এবং প্রশাসনিক কাজে লেখার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবেই ক্যালিগ্রাফি চর্চা শুরু হয়। যার ফলে আজও আমরা ঐতিহাসিকভাবে একটি শিল্পের এতো বিস্তৃত আকারে প্রসার দেখতে পাই। আজও কুরআনের মুসহাফ বা পান্ডুলিপি এবং হাদিসের গ্রন্থসমূহ এর সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

আরবি ক্যালিগ্রাফি হলো নান্দনিকতা ও আধ্যাত্মিকতার অপূর্ব সংমিশ্রণ, যেখানে প্রতিটি হরফ কেবল ভাষা প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং সৌন্দর্য ও ভাবের বহিঃপ্রকাশ। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই আরবি হস্তলিপি বিকশিত হয়েছে, বিশেষত কুরআন লেখার মাধ্যমে, যা এই শিল্পকে এক পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ রূপ দিয়েছে। কুফি, নাসখ, থুলুথ, দি‌ওয়ানি, রুকা, ও নাস্তালিকসহ বিভিন্ন শৈলীতে আরবি ক্যালিগ্রাফির অসাধারণ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, যেখানে প্রতিটি স্ট্রোক এক গভীর অর্থ বহন করে।

সাধারণত বাঁশের কলম, বিশেষ ধরনের কালি, ক্যানভাস কিংবা আধুনিক ডিজিটাল টুলের মাধ্যমে এই শিল্প নতুন রূপ পেয়েছে, তবে এর মূল আবেদন সেই ঐতিহ্য ও বিশুদ্ধতা, যা যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত আছে। আজকের বিশ্বে আরবি ক্যালিগ্রাফি শুধু ধর্মীয় গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্থাপত্য, চিত্রকলা, ফ্যাশন ও ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই শিল্পের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রমাণ করে যে, এটি কেবল অতীতের ঐতিহ্য নয়, বরং ভবিষ্যতের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে প্রতিটি হরফ এক জীবন্ত শিল্পকর্ম হয়ে ওঠে শিল্পীর হাতের জাদুতে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের বিশেষ আয়োজনআরবি ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ তার ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের রমজানে আয়োজন করেছিল এক অনন্য কর্মশালা—‘আরবি ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা-২০২৫’। পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম সাধনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আত্মিক সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মশালা তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ১৭, ১৮ এবং ১৯ মার্চ। কর্মশালাটি ছিল সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত, যেখানে মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের মাননীয় ডিন ড. মোঃ মোজাম্মেল হক। তিনি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের নান্দনিক ও আত্মিক জগতকে সমৃদ্ধ করার জন্য আরবি ক্যালিগ্রাফির গুরুত্ব তুলে ধরেন। কেবল পেশাগত দক্ষতা অর্জনের দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং এই শিল্পচর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সৌন্দর্যবোধকে বিকশিত করতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসাথে ক্যালিগ্রাফিকে নান্দনিক শিল্পের বিচারে উত্তীর্ণ একটি শিল্প হিসেবে গ্রহণ করে চর্চা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ড. এম এম ময়েজ উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক, জাবি চারুকলা বিভাগ, চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব শামীম রেজা, পিএইচডি, ও সহকারী অধ্যাপক ধীমান সরকার প্রমুখ।

এই কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং গবেষক মোঃ আবু বকর সিদ্দীক। যিনি আর্ট কার্নিভাল, ভাস্ট, ক্রাফট ও ব্যাম্বো চিকের মতো নান্দনিক শিল্পোদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন বিগত প্রায় এক দশক ধরে। তিনি তার দীর্ঘদিনের গবেষণা ও প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্যময় জগতে পথপ্রদর্শন করেন। ক্যালিগ্রাফিকে শিল্পের মর্যাদা প্রদানের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন- বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্যালিগ্রাফি চর্চার একটি দীর্ঘ কালো সময় গেছে ধর্ম ও সংস্কৃতির এক অপ্রত্যাশিত দ্বন্দ্বের ফলে। নির্দিষ্ট ট্যাগ লাগিয়ে এই শিল্পের চর্চাকে থামিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে কেউ কেউ তবে সংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের এমন আয়োজন দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে সাংস্কৃতিক বৈষম্য মোকাবেলা এবং বৈচিত্র্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পথ দেখাবে। তিনদিনব্যাপী এই আয়োজনে সহ-প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী সুলতানা মিমি এবং জামিল আহমেদ। বিগত সরকারের সময়ে দেশের প্রথিতযশা ক্যালিগ্রাফি শিল্পীদের সহযোগে সাংস্কৃতিক বৈষম্যরোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলোতে অগ্রগামী ভূমিকা পালনকারী সুলতানা মিমি এবং জামিল আহমেদের কথায় উঠে আসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গ্রাফিতির মাধ্যমে তারুণ্যের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের স্মৃতিচারণ। তিনজন প্রশিক্ষকের অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতায় কর্মশালাটি ছিল সুগঠিত ও ফলপ্রসূ।

কর্মশালাটি দুটি অংশে বিভক্ত ছিল—তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক। প্রথম অংশে শিক্ষার্থীদের আরবি ক্যালিগ্রাফির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শিল্পের বিবর্তন এবং নান্দনিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অংশে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্যালিগ্রাফির মূল কলাকৌশল শেখানো হয়। কীভাবে বিভিন্ন ধরণের ব্রাশ ও কলম ব্যবহার করে আরবি লিপি ফুটিয়ে তোলা যায়, কীভাবে রঙের ব্যবহারে একটি শিল্পকর্ম প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে—এসব বিষয় প্রশিক্ষণার্থীরা শিখেছেন দক্ষ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে।

১৯ মার্চ সমাপ্তি দিনে কর্মশালার সমাপনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি তার বক্তব্যে- শিল্পচর্চায় সকল প্রকার বৈষম্যের নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চারুকলার গুরুত্ব তুলে ধরে এই আয়োজনের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সোহেল আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ আবদুর রব। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান এবং অতিথিদের মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালাটির সফল সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফির উত্থান ক্যালিগ্রাফিতিবিপ্লব

বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি চর্চার একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রবাহ রয়েছে। মধ্যযুগীয় যুগে ইসলামিক স্থাপত্য ও মসজিদ অলংকরণের মাধ্যমে এই শিল্পের প্রচলন শুরু হয়। কোরআনের আয়াত ও বিভিন্ন ইসলামিক বাণী শৈল্পিক রূপে লেখার এই চর্চা কালক্রমে আরও বিস্তৃত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি এক নতুন রূপ লাভ করে— যাকে অবিহিত করা হয় ‘ক্যালিগ্রাফিতি’ হিসেবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশজুড়ে শহরের দেয়ালগুলো পরিণত হয়েছে এক বিশাল ক্যানভাসে, যেখানে প্রতিটি আঁকিবুঁকি, রঙিন আলপনা ও শক্তিশালী কালিগ্রাফির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ, আকাঙ্ক্ষা এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন। দেয়ালচিত্রগুলোতে উঠে এসেছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, ন্যায়বিচারের আহ্বান এবং একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের আকাঙ্ক্ষা।

এই শিল্পকর্মের পেছনে অনেক প্রতিভাবান ক্যালিগ্রাফারও তাঁদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন শৈলী ও নান্দনিক ফর্মে আন্দোলনের স্লোগান, প্রতিবাদী বক্তব্য এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তা ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনো রঙের খেলায়, কখনো বা সূক্ষ্ম আরবী, বাংলা বা ইংরেজি হরফের বিন্যাসে তাঁরা দিয়েছেন চিত্রের সঙ্গে ভাষার এক অসাধারণ সংমিশ্রণ।

এই দেয়ালচিত্র ও ক্যালিগ্রাফিগুলো কেবল শৈল্পিক প্রকাশ নয়; বরং এগুলো সমাজের অসন্তোষ, পরিবর্তনের ডাক এবং গণমানুষের চেতনার প্রতিফলন। আন্দোলনের রেশ শেষ হয়ে গেলেও এসব শিল্পকর্ম পথচারীদের মনে আন্দোলনের চেতনা জাগিয়ে রাখবে বহুদিন। শহরের দেয়ালে দেয়ালে আরবি ক্যালিগ্রাফি ও বাংলা হস্তলিপির মিশেলে তৈরি এই ‘ক্যালিগ্রাফিতি’ আজ দেয়ালের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলছে বহুগুণ।

নগরজীবনের মলিন দেয়ালগুলোতে পবিত্র বাণী, দার্শনিক উক্তি ও নান্দনিক শৈলী ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পীরা এক নতুন আন্দোলন সৃষ্টি করেছেন। এটি কেবলই শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একটি আত্মিক আন্দোলন, যা ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাবনার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। এই শিল্পকর্মগুলো শুধুমাত্র দর্শনীয় নয়, বরং নাগরিকদের চিন্তার খোরাকও জুগিয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা

আরবি ক্যালিগ্রাফি কেবলমাত্র শিল্পচর্চা নয়; এটি আধ্যাত্মিক চেতনার বহিঃপ্রকাশও বটে। ক্যালিগ্রাফির প্রতিটি আঁচড়ে আল্লাহর নাম, কোরআনের আয়াত বা প্রার্থনার শব্দগুলো ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পী তার ভেতরের প্রশান্তি ও অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করেন। বিশেষত রমজান মাসে এই শিল্পচর্চা ধ্যানের মতো এক গভীর অনুভূতি সৃষ্টি করে।এই কর্মশালা শুধুমাত্র তিনদিনের একটি ইভেন্ট ছিল না; এটি ছিল শিক্ষার্থীদের আত্মবিকাশের একটি বিশেষ সুযোগ। তাদের সৃজনশীল চিন্তাধারা এবং আধ্যাত্মিক চেতনার মেলবন্ধন ঘটানোর এক অনন্য প্রয়াস। এই আয়োজন প্রমাণ করেছে যে শিল্পচর্চা শুধু রঙ ও তুলির খেলা নয়, বরং এটি আত্মার প্রশান্তি ও নান্দনিক উপলব্ধির এক অনন্য মাধ্যম।

বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফির বর্তমান প্রবাহ এবং ‘ক্যালিগ্রাফিতি’ আন্দোলন একটি নতুন সাংস্কৃতিক দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শিল্পী ও তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের ফলে এটি এখন আর শুধু ব্যক্তিগত চর্চা নয়, বরং জনমানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ক্যালিগ্রাফি ও টাইপোগ্রাফিকে গুরুত্ব দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তে ক্যালিগ্রাফি অ্যান্ড টাইপোগ্রাফি, ইসলামিক আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার নামের নতুন দুইটি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জাবি’র এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের শিল্পীসত্তার বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভবিষ্যতে এমন আরও নান্দনিক কর্মশালা আয়োজনের প্রত্যাশায় থাকলো শিক্ষার্থী ও শিল্পানুরাগীরা।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ