|| তানবিরুল হক আবিদ ||
পাহাড় চূড়া, দীঘল উপত্যকা ও এক পশলা হৃদের প্রাণবন্ত ঐকতানের অন্য নাম কাশ্মীর। তুষারাবৃত চূড়া এবং ব্যস্ত-সমস্ত তৃণভূমির অবারিত মোহনীয়তায় নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ভূস্বর্গ নামটির অর্থ। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উষ্ণ আতিথেয়তা যে কোনো ভ্রমন কারীকে আপন করে নিতে যথেষ্ট।
ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত বিশ্ব জোড়া পর্যটকদের এই প্রিয় গন্তব্যে যাওয়ার ইচ্ছে অনেকেরই। স্বপ্ন থাকলেও সাধ্য না থাকায় অনেকের জীবনেই কাশ্মীর ভ্রমণ হয় আকাশ কুসুম স্বপ্ন। সাধ্যের বিষয়টা নির্ভর করে অনেকটা ভ্রমণ পরিকল্পনা ও ট্যুর এজেন্সির ওপর। পারফেক্ট ভ্রমণ পরিকল্পনা ও নির্ভরযোগ্য ট্যুর এজেন্সি পাওয়া গেলে অধিকাংশের সাধ্যের ভেতরে চলে আসবে ভূস্বর্গ কাশ্মীর ভ্রমণ। যথাযথ ভ্রমণ গাইড, মানসম্মত হোটেলে থাকা, ছোটখাটো উল্লেখযোগ্য সব স্পট ঘুরে দেখাসহ ট্রানজিটের নানান ঝামেলা মাথায় এসে যাদের কাশ্মীর যাব যাব করে আর যাওয়া হচ্ছে না তাদের জন্য সহযাত্রী নিয়ে এলো "ভূস্বর্গ কাশ্মীর ট্যুর" প্যাকেজ।
সহযাত্রী আপনার সঙ্গী হয়ে মুক্তি দেবে এসব ঝামেলা। স্বপ্ন হবে বাস্তব। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে সহযাত্রীর ১০ দিনের একটি গ্রুপ যাচ্ছে কাশ্মীরে।
সহযাত্রীর গ্ৰুপ ট্যুরে যা যা দেখবেন: সোনমার্গ, গুলমার্গ, গ্লেসিয়ার, ডাললেক, মোঘল গার্ডেন, পরী মহল, হযরতবাল মসজিদ, পেহেলগাম, আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, চন্দন ওয়ারি, বাইসারান, আপেল বাগান , সিদ্ধু ও লিডার নদী, জাফরান ফিল্ডস, ক্রিকেট ব্যাট কারখানা।
সহযাত্রীর ফাউন্ডার রোকন রাইয়ান বলেন, সহযাত্রী সর্বপ্রথম কাশ্মীরের পথে যাত্রা করেছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। ১৬ জন যাত্রী ছিল সেই ট্যুরে। সবার অভিজ্ঞতা ছিল অন্যরকম। ছোটবেলা থেকে কত স্বাদ, কল্পনা, একবার পৃথিবীর জান্নাত কাশ্মীর দুচোখে দেখার। আল্লাহ যেন পূরণ করেছেন স্বপ্ন।
সেই থেকে সহযাত্রীর নিয়মিত কাশ্মীর সফর চলছে। কখনো গ্রুপ ট্যুর কখনো বা পার্সোনাল ট্যুর এরেঞ্জ করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কোনো সময় ৪ জনের বেশি হলেই সহযাত্রীর মাধ্যমে নেয়া যায় কাশ্মীর ট্যুর প্যাকেজ। ভিসা, বিমান টিকেটসহ লোকাল গাইড ও রাইড সবকিছু নেয়া যিবে সহযাত্রী থেকে।
তিনি আরো জানান, কাশ্মীর পুরোটা জুড়েই দেখার মতো অনন্য জায়গা। তবে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়টাকে গ্রিন সিজন বলা হয়। কারণ এ সময় পুরো প্রকৃতি সবুজে ভরপুর থাকে। থাকে আপেল, চেরিসহ নানারকম ফল। আর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত জায়গাটি থাকে বরফে ঢাকা । এসময় রাস্তা ঘাটে সর্বত্র থাকে বরফ আর বরফ।
কাশ্মীরে এই ট্যুর ছাড়া আছে ভিন্নরকম অভিজ্ঞা আর অ্যাডভেঞ্জার সম্বলিত গ্রেট লেকস ট্যুর। এটি একদিকে যেমন ভয়ঙ্কর অন্যদিকে খুবই মজার। ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় ট্রেক করা একটু কষ্টকর হলেও এর অভিজ্ঞতা সারাজীবনের সঞ্চয়। কোথাও লেকের নীল জল। আবার কোথাও সুবজ। আবার কোনও জায়গায় নীল আকাশ নেমে ঠেকেছে মাটিতে।
প্রতিদিন ৮/৯ ঘণ্টা ব্যাগ কাধে নিয়ে আপনাকে হাটতে হবে। রাতে থাকতে হবে তাবুতে। এই ট্যাকে আপনি দেখবেন, ৫ টা সুন্দর ভ্যালি এবং ৭ টি হাই এল্টিটিউড লেক।
কবি ও গল্পকার সাইফ সিরাজ বলেন, কাশ্মীর আমাদের জন্য এক স্বপ্ন সফরের নাম। টিভি, পত্রিকা, ইতিহাস আর ভ্রমণ কাহিনীতে পড়তে পড়তে মন ছুটে যায় কাশ্মীরে। ইচ্ছে হয় সফরের। মনে হয় একবার যদি ছুটে বেড়াতে পারতাম কাশ্মীর উপত্যাকায়। একবার যদি জাফরান ক্ষেতের পাশে বসে থাকতে পারতাম। আপেল বাগানে গিয়ে যদি ছুয়ে দেখতাম আপেল গাছের পাতা! পাহাড় বেয়ে নেমে আসা স্বচ্ছ্ব-স্ফটিক জলে যদি ভিজতে পারতাম একবার! আমাদের এই সফরের স্বপ্ন সহযাত্রী এখন বাস্তবায়ন করে চলেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই সুখের খবর।
সহযাত্রী কাশ্মীর ট্যুর ছাড়াও দেশের ভেতরে কুয়াকাটা, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সিতাকুন্ড, সাজেক ভ্যালি, টাঙ্গুয়ার হাওর, সিলেট, বান্দরবান, সুন্দরবন সহ উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রসমূহে সুনামের সঙ্গে ট্যুর পরিচালনা করে আসছে। সাগরকন্যা কুয়াকাটাই সহযাত্রী রয়েছে বাহারি কটেজ ও মনোরম পরিবেশে সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে গড়ে তোলা ‘ইলিশ পার্ক ইকো রিসোর্ট।’
ওমরাহ, দুবাই, উজবেকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক সব ট্যুরের জন্য আজই নক করুন।
ওয়েবসাইট: https://www.sahazatri.com
পেইজ: https://www.facebook.com/pages/sahazatri
মুঠোফোন: 01869815518
কেএল/