মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


কে এই মিল্টন সমাদ্দার ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলা বিতর্কিত সমাজকর্মী মিল্টন সমাদ্দারকে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে। মানবহিতৈষী ও সমাজসেবী চেহারার আড়ালে তিনি ভয়ংকর সব কর্মকাণ্ড চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এক শিশুকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

তাঁকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর উত্থান ও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ। 

কে এই মিল্টন সমাদ্দার

মিল্টন সমাদ্দারের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে।

২০০৯ সালে রাঙ্গামাটির চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পরিচয়ে তুলে ধরেন তিনি।

ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় মিল্টন সমাদ্দার নিজের পরিচয় সম্পর্কে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন ও মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড।

এর মধ্যে প্রথম দুইটি প্রতিষ্ঠানকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মিল্টন হোম কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় ও আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের খুঁজে বেড়ানো তার নেশা ও পেশা হয়ে গেছে। মানুষের দান আর নিজের ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করেন তিনি।

এতে আরো দাবি করা হয়েছে, বৃহৎ পরিসরে সেবা দিতে ২০১৪ সালে ঢাকার পাইকপাড়ায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

মি. সমাদ্দার নিজের পেইজে যেসব ভিডিও প্রকাশ করেছেন সেখানে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানকে আশ্রম বলে তুলে ধরেছেন।

পেশায় নার্স মিল্টন সমাদ্দার ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার নামে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মানবদেহের অঙ্গ বিক্রিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে উঠে আসা এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সুত্র: বিবিসি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ