।।নুর আলম।।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রে তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য যেমন প্রার্থীর নাম, ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, জন্মতারিখ, ভোটার নম্বর, ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর, ভোটার এলাকার নাম, উপজেলা, জেলার তথ্য দিতে হয়। এর সাথে আরো যেসব তথ্য দিতে হয় তা হলোঃ
১. প্রার্থীর পক্ষে প্রস্তাবকের নাম ও ভোটার নম্বর, সমর্থকের নাম ও ভোটার নম্বর, প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর।
মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামা দিতে হবে। হলফনামার মধ্যে প্রার্থী নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আয়ের উৎস ও দায়ের বিস্তারিত তথ্য, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণ, দায়ের হিসাব, এর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে থাকলে ভোটারদের দেয়া প্রতিশ্রুতি এবং তার কী পরিমাণ অর্জন করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা, ঋণের হিসাবের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হয়।
এছাড়া হলফনামার মধ্যে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সে সম্পর্কিত নথি, বর্তমানে বা অতীতে কোন ফৌজদারি মামলা থাকলে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও হলফনামায় তুলে ধরতে হবে।
২. নির্বাচনে ব্যয় নির্বাহ করার জন্য অর্থের উৎসের বিবরণ, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম, আয়করের তথ্য, সম্পদ ও দায় এবং বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব, সম্পদের বিবরণী সম্বলিত রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ কপি এবং কর পরিশোধের প্রমাণপত্রের কপি সংযুক্ত করতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য তফসিলি ব্যাংকে প্রার্থীর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই একাউন্ট নম্বর ফরমে উল্লেখ করতে হবে। এটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই করতে হবে। এই ব্যাংক হিসাব থেকেই সব নির্বাচনী ব্যয় সম্পাদন করতে হবে।
৩. একই সাথে ওই প্রার্থী যে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাবেন সেই দলের মনোনয়নের কপি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
৪. আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ১৯৭২ এর ১২(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। এসব নথির মধ্যে রয়েছে, তিনি সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসায়িক কোন সম্পর্ক বা সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ক তথ্য।
৫. জামানত হিসেবে জমাকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালান বা রশিদের কপি জমা দিতে হবে।
৬. এর আগে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে কিনা এবং নির্বাচিত হয়ে থাকলে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। যেমন তিনি কততম সংসদ নির্বাচনে কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তার নাম ও নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
৭. আর এর আগে নির্বাচিত হয়ে না থাকলে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তিনি যে নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থিতা করবেন তার নাম ও নম্বর উল্লেখ করে ওই এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা সংযুক্ত করতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
এনএ/