নাজমুল হাসান সাকিব, বিশেষ প্রতিনিধি
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দায়ী, মুতাকাল্লিমে ইসলাম, তরজুমানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস গুম্মান। শাইখ ইলিয়াস গুম্মান ৭-১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন দ্বীনিপ্রতিষ্ঠান, বিষয়ভিক্তিক কনফারেন্স ও ইসলামী মহাসম্মেলন এবং ইসলাহী প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছেন। পরে সোমবার সকাল ৮:৫০ মিনিটে হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছেড়ে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেন।
জানা গেছে, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস গুম্মান ৭ নভেম্বর হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করলে আল-মারকাজুল ইসলামীর চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা হামজা শহিদুল ইসলাম তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে ডমেস্টিক দিয়ে চট্টগ্রামে যান। সেখানে তিনি ৭ ও ৮ নভেম্বর দুই দিন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি দরসেগাহ জিরি মাদরাসার ইসলাহী মহাসম্মেলনে যোগ দেন। পরে ৯ ও ১০ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রামের আরো অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উল্লেখযোগ্য মাহফিলগুলো হচ্ছে- উম্মুল মাদারিস হাটহাজারী, পটিয়া, নানুপুর, মেখল, মোজাহেরুল উলুম, আল-মারকাজুল ইসলামী কিন্ডারগার্টেন, আল-হাসনাইন এ্যারাবিক স্কুল ও টেকনাফের একটি মহাসম্মেলন।
মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান সফরের প্রথম চার দিন পর কক্সবাজার থেকে বিমান যোগে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে ১১ নভেম্বর তিনি আল-মারকাজুল ইসলামী একাডেমিক সিটি কেরাণীগঞ্জ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বয়ান-দরস ও বিশেষ সাক্ষাতে সময় দেন। পরে ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকার বিভিন্ন দ্বীনি এদারা ও ইসলামী সম্মেলন ও কনফারেন্সে যোগ দেন। সেগুলোর উল্লেখযোগ্য হলো- মারকাযুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, বাইতুল উলুম ঢালকানগর, আল-মারকাজুল ইসলামী পরিচালিত জামিআ আবু হুরাইরা, মানিকগঞ্জ ও আন-নূর কমপ্লেক্স নড়াইল, জামিআ হালিমিয়া মধুপুর, মাদানীনগর, দিলুরোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সূর্যসেন হল)। এর মাঝে তিনি ১৩ নভেম্বর সিলেট ও ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম সফর করেন।
সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর মাওলানা ইলিয়াস গুম্মানের আমন্ত্রণে আল-মারকাজুল ইসলামী একাডেমিক সিটিতে তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খানকায়ে হানাফিয়্যাহর ব্যানারে তিনি ইসলাহী ইজতেমার আহবান করেন। যেখানে দেশের শীর্ষ উলামা-তলাবা উপস্থিত হয়ে বয়ান-বাইআত, যিকির ও আপ্যায়নে শরিক হন। তার ইমামতিতে সবাই নামাজ আদায় করেন।
দেশের স্বনামধন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর আসরের নামাজের পর তিনি আল-মারকাজুল ইসলামীর অর্থায়নে নির্মিত নান্দনিক ডিজাইনের একটি নতুন মসজিদ উদ্বোধন করেন। যেটি একাডেমিক সিটির নিকটে সিরাজনগর (লালকবর), কলাতিয়া, কেরানীগঞ্জ এলাকায় দ্বীন ও দাওয়াত-তাবলীগের কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
অবশেষে বিশ্ববিখ্যাত এই দায়ী দেশের নানা প্রোগ্রাম শেষে ১৮ নভেম্বর সকাল ৮:৫০ মিনিটে বিমানে তুরস্কে গমন করেন। জানা গেছে, তখন মুতাকাল্লিমে ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস গুম্মানকে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন আল-মারকাজুল ইসলামীর চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা হামজা শহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি ইনামুল হাসান, জিরি মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা খুবাইব, বাইতুল উলুম ঢালকানগরের মুঈনে মুহতামিম মাওলানা সালমান ও মাওলানা আসেম এবং নাজমুল হাসান সাকিব প্রমুখ।