বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে দেশে ফিরতেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন সিক্ত হলেন হাফেজ বশির আহমাদ।
গত বুধবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) বিশ্বের ৯০টি দেশের হাফেজদের অংশগ্রহণে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজ বশির তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
হাফেজ বশির শায়খ নেসার আহমাদ আন নাসিরী পরিচালিত রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বয়স ১৩। আজ শুক্রবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) আলজেরিয়া থেকে দেশে ফিরেছে ক্ষুদে এই হাফেজ।
এদিন বিকেল ৩টায় হাফেজ বশির আহমাদকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ কুরআনপ্রেমী মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানান। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার, তার উস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আর নাছিরী, বিশিষ্ট আলেম মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী ও হাফেজ বশির আহমাদের বাবাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এবং বাবা মায়ের চেষ্টা শ্রমের ফলে মাত্র ৫ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময়কর এই হাফেজ। এরপর ২০২১ সালে পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হাফেজ নির্বাচিত হয় হাফেজ বশির। এবার বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরল বাংলাদেশী এই ক্ষুদে হাফেজ।
উল্লেখ্য, হাফেজ বশির হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক মাওলানা মো: আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে। জানা যায়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করবে সে। সেখানেও প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চায় হাফেজ বশির আহমাদ। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে এই বিস্ময়বালক।
/এইচএএম