বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা মুকিত জাকারিয়া। শোবিজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই তারকাখ্যাতি পেয়েছেন। পাশাপাশি অভিনয়েও দর্শকের নজর কেড়েছেন তিনি। বর্তমানে অভিনয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেতা। কয়েক দিন আগেই অঞ্জন আইচের ৫টি নাটকের কাজ শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
ইতোমধ্যে অভিনয় জীবনের ১৪ বছর পাড়ি দিয়েছেন মুকিত। দেশে ফিরেই নিজের কাজের নানান বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।
এ সময় অভিনেতা জানান, ইউটিউবের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে বহুবার তিনি কথা বলেছেন। সবসময় প্রতিবাদ করে যাবেন। পাশাপাশি এটাও উল্লেখ করেন, কোনো এক অদৃশ্য অপশক্তির কারণেই ফিল্মে কাজ করা হয়নি তার।
বর্তমানে ইউটিউব নির্ভর কাজের প্রতি অনেকের অনীহা প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে মুকিত বলেন, ইউটিউব নির্ভর কাজের প্রতি অনীহা মূলত কিছু নির্মাতা ও অভিনেতার জন্য তৈরি হয়েছে। আমি এর আগেও এসব ডাবল মিনিং বা অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সবসময় আমি প্রতিবাদ করে যাব। আমি এমন অনেক কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি, যেখানে ডাবল মিনিং বা অশ্লীল ডায়লগ ছিল। কিন্তু তথাকথিত কিছু নির্মাতা বা কিছু অভিনয়শিল্পী এই ট্রেডটার বারোটা বাজিয়েছে।
উদাহরণ দিয়ে মুকিত বলেন, কিছুদিন আগে আমি একটি কাজে বিমানে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলাম। তো বিমানটি ল্যান্ড করার সময় হঠাৎ এক বয়স্ক ভদ্রলোক আমার দিকে এসে অনেকটা ধমকের সুরেই বললেন, এই যে আপনাদের নাটকে এত গালাগালি থাকে কেন? আমরা পরিবার নিয়ে দেখতে পারি না! আমি চুপ হয়ে গেলাম। আমার নিজের অভিনীত কোনো নাটকে কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে না। যেহেতু এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ হিসেবে আমিও রয়েছি, তাই এসব অপবাদ মাথা পেতে নিতে হয়। বিব্রত হই তখন। লজ্জা পাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন যারা করে, তারা কি বিব্রত হয়?
ছোট পর্দায় নিয়মিত মুকিতের বিচরণ থাকলেও বড়পর্দায় খুব একটা আনাগোনা নেই তার। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, অনেক দুঃখের সঙ্গেই বলতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন অনেক কাস্টিংয়ে পরিচালক আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, সাইনিং মানির কনফার্ম করেছেন। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য অপশক্তি আমাকে ফিল্ম থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
অভিনেতা আরও বলেন, আমার সঙ্গে বারবার এমন ঘটনা ঘটে। তবে আমি নিরাশ হই না। ক্ষোভও জাগে না। শুধু ওপরওয়ালার কাছে প্রশ্ন রাখি। কেন আমাকে যারা এ রকম ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তারা আবার বাইরে বা বিভিন্ন পার্টিতে আমার সামনেই হাসে, আমাকে জড়িয়ে ধরে। একসময় এসব দেখে অবাক হতাম। এখন আর হই না। অভ্যাস হয়ে গেছে। মেনে নিই যে, এ রকম মানুষ সমাজে থাকবেই।
এনএ/