বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২২ মাঘ ১৪৩১ ।। ৬ শাবান ১৪৪৬


‘প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করা ফ্যাসিবাদের অনুসরণ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের ২ কোটির উপরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বছরে বিশ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি  হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত ,চারুকলা ও শারীরিক শিক্ষা। অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি প্রাইমারিতে ক্লাস ওয়ান থেকে ৫ পর্যন্ত ধর্মীয় বিষয়ে বই থাকা সত্ত্বেও কোন ধর্মীয় শিক্ষকের পদ স্বাধীনতার ৫৩ বছরের সৃষ্টি করা হয়নি। বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার ধর্ম শিক্ষা কে সংকুচিত করেছে, ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও এই বৈষম্য বাংলাদেশের শিক্ষক অভিভাবক ও ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাইমারিতে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করতে হবে।

আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের সম্পাদক ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।

বাংলাদেশের প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর।

অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা আহসানুল্লাহ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আর আই এম ওহিদুজ্জামান, ডঃ মাসুম রব্বানী আজহারী প্রফেসর শিহাব উদ্দিন মোল্লা মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী কে এম জাহিদ তিতুমীর, আলতাব হোসেন গাজী প্রমুখ।

জনাব জাকারিয়া আরো বলেন, ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ যে বেতন পান তার খুবই সামান্য ও অপ্রতুল। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো দরকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নয়, বরং বিদ্যালয়ের যাবতীয় আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে, তাহলে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে, টেকসই উন্নয়ন হবে, বিরাজমান বৈষম্য দূর হবে এবং ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন ১৯৭২ সালে কুদরতি ক্ষুদা শিক্ষা কমিশনের আদলে ৫৩ বছরে শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে যা চব্বিশে অনুপযুক্ত ও অকার্যকর, কাজেই নতুন বাংলাদেশে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে যা হবে দেশের জনগনের বোধ বিশ্বাস ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চিন্তা চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার নতুন কারিকুলাম এর নামে ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল, যা দেশের জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সিনিয়র সহ-সভাপতি আরো বলেন, ২০১৩ সালে ২৬০০০ রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ   করলেও ইসলাম ফোবিয়ার কারণে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা একটিও জাতীয়করণ করেনি। তার সংখ্যা মাত্র ১৫০০! তিনি  বৈষম্যের শিকার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।

কর্মসূচি: আগামী ১৪ ডিসেম্বর সারাদেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর