শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ ।। ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে ডুবেছে ৪ ট্রলার, নিখোঁজ অনেক রাসূল সা. এর অনুসরণই মুক্তির সোপান আমরাও দুর্গোৎসব করি, ভারত নয় ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা: মৎস্য উপদেষ্টা মোদিবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র, মামলায় রিমান্ডে সাবেক ওসি ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে : শায়খ আহমাদুল্লাহ সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ‘সহকারী শিক্ষক (হিন্দু)’ চেয়েছে শাহবাগে আন্দোলনকারীরা ‘দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান’ হত্যাচেষ্টা মামলায় ‘হুকুমের আসামি’ নিক্সন, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি

ইসলামিক স্কলারকে ভিসি হিসেবে চান ইবি শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাইল হাসান রাহাত
ইবি প্রতিনিধি

সম্প্রতি আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার যে উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে অনেকটাই দূরে। রাজনীতির রোষানলে পড়ে ইবি বারবার বাধাগ্রস্থ হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা আদলে ২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে ১৭৫ একর জমিতে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল লক্ষ্য ছিল, ইসলামি শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠন। কিন্তু যে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা ব্যাহত হয়েছে। কোনো ইসলামিক স্কলারকে (আলেম) ভিসি হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার ফলে মূল লক্ষ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিটকে গেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিটি বিভাগে সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় করে ইসলাম বিষয়ে মৌলিক ধারণাসহ বিশেষ জ্ঞান অর্জন করবে, এমন উদ্দেশ্য থাকলেও সেটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। সাধারণ প্রতিটি বিভাগে ‘ইসলামিক স্টাডিজ’ নামে একটি নন ক্রেডিট কোর্স রয়েছে। কিন্তু কোর্সটির পাঠদান ছাড়া পরীক্ষা ও শুধু পাস নম্বরের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় খুব কমই ভিসি হিসেবে আন্তর্জাতিকমানের ইসলামিক স্কলার পেয়েছে। শুধু রাজনৈতিক মাপকাঠি ও তদবিরের কারণে সাধারণ শিক্ষকরা বারবার ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একজন ইসলামিক স্কলার আসুক যিনি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার আদলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রুপান্তর করবেন।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ত্বকী ওয়াসিফ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করলে যথেষ্ট অনিয়ম ও বিতর্ক স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। আমরা এমন কাউকে উপাচার্য হিসেবে চাই, যিনি হবেন একজন সৎ ইসলামিক স্কলার। কারণ একজন ধর্মপ্রেমী মানুষই পারে বৈষম্যহীন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতামুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে।’

এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিকে একাডেমিক যোগ্যতার সঙ্গে ইসলামি জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও বর্তমানে তেমনটি হয় না বলে জানা গেছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ