|| হাসান আল মাহমুদ ||
সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় সিলেবাস নিয়ে নানা প্রচার হওয়ার প্রেক্ষিতে বোর্ডটি পাঠ্য তালিকা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই তথ্য জানায়।
বোর্ড জানায়, ‘ বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত মাদরাসাসমূহের মুহতামিম হযরাতের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে অতীতের নানা সময়ের ক্রম পরিবর্তিত সিলেবাসের ছবি দিয়ে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে।’
বোর্ড আরও জানায়, ‘এছাড়া আল-হাইআতুল উলয়া কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে প্রদত্ত নেসাবের ধারণাপত্র (যা প্রস্তাবিত এবং বেফাক কর্তৃক এখনও চূড়ান্ত নয়) সামনে রেখে বেফাকভুক্ত কিছু মাদরাসা নিজেদের পাঠ্যক্রম নির্ধারণে সিদ্ধান্তহীনতা অনুভব করছে বলে জানা যাচ্ছে। এসবই অমূলক এবং অপ্রয়োজনীয় চর্চা’।
সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকা সংক্রান্ত বিষয়াবলী দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বেফাক জানায়, ‘সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকা সংক্রান্ত বিষয়াবলী দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে চলতি ১৪৪৫-৪৬ হি. শিক্ষাবর্ষের জন্য বেফাকের পূর্বের পাঠ্য তালিকা (নেসাব) এবং বিগত ০৪/০৮/১৪৪৫ হি. তারিখে বেফাক প্রচারিত কাফিয়া ও শরহে জামি জামাতের নেসাব অনুযায়ী মাদরাসায় পাঠদান করার জন্য সকলকে অবগত করা হলো। পাশাপাশি এ কথা মনে রাখা চাই যে, বেফাক সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি/বার্তার ক্ষেত্রে বেফাকের ওয়েব সাইট ও ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজই অনুসরণযোগ্য’।
বোর্ডটি আরও জানায়, ‘ফযীলত উলা অর্থ্যাৎ হেদায়া জামাতের নেসাবের ক্ষেত্রে নিজ নিজ মাদরাসায় প্রচলিত হেদায়া জামাত, প্রয়োজনে কিছু পরিমার্জনসহ চালু রাখতে হবে। তরজমায়ে কোরআনের ক্ষেত্রে পারা হিসেবের স্থলে সূরা হিসেবে নতুন নির্দেশনা অনুসরণ করে পূর্ণ কোরআন তরজমা পড়াতে হবে’।
হাআমা/