শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫ ।। ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ৭ রমজান ১৪৪৬


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব ও নিকাব পরা ছাত্রীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ) উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে বলেও জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তামান্না বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পর হিজাব-নিকাব নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা বলেন, আজ পরীক্ষা দেওয়ার সময় কর্তব্যরত শিক্ষক তাঁকে হাজিরা খাতায় সই করতে দেন এবং তাঁর খাতাটা স্বাক্ষর করতে হাতে নেন। তখন ওই শিক্ষক তাঁকে মুখ দেখাতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শিক্ষক চলে যান। এবং একটু পরে একজন শিক্ষিকা এসে তাঁর স্বাক্ষর নেন। তাহমিনা মনে করেন, অনেকেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হন। এর সমাধান প্রয়োজন। তাই তিনি এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই পোস্টের দুই ঘণ্টা পর বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁকে ফোন করে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

এই শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি জানান। তা হলো অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের চেহারা দেখে শনাক্ত না করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করা হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার পূর্ব পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ভাইভায় নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে শনাক্ত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এর আগে যেসব নারী শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন ও হেনস্তা করা হয়েছে, সেসব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ