আল্লাহ ও রাসুল এবং ধর্ম অবমাননাকারী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান ও সোহেল হাসান গালিব এবং স্বামীকে আটক রেখে রোযাদার স্ত্রীকে উপর্যপুরী ধর্ষণের দায়ে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদি সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে রংপুরের সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাযের পরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আলেম-ওলামা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সচেতন মুসলিম তৌহিদি জনতার পক্ষে দেয়া বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বলেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রধানতম অস্ত্র ছিল দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং এর ছত্রছায়ায় নানান দুর্নীতি-অনিয়ম, খুন-গুম ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা। অভ্যুত্থান পরবর্তী এমন ধর্মীয় সর্বোচ্চ অনুভূতির জায়গায় আঘাতের মাধ্যম সেই একই চক্রান্তের পূনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে ঘাপটি মেরে থাকা গালিব ও রাখাল রাহার মতো পতিত স্বৈরাচারের দোসররা।
তারা বলেন, বাকস্বাধীনতার নামে একশ্রেণীর বিকারগ্রস্ত মানুষ ইসলামকে, ইসলামের নবীকে বারবার অবমাননার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাস্তিকতার আড়ালে তারা এদেশের মানুষের মধ্যে বৃহদাকারে দাঙ্গা তৈরি করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
সমাবেশে বক্তারা দাবি জানান, এই সরকার যদি দেশের মঙ্গল চায়, তাহলে সরকার এবং সরকারের আশপাশে যারা রয়েছে, অনতিবিলম্বের এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী র্যা বের সদস্য হয়ে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন ধর্মপ্রাণ নাগরিককে আটক করে তার স্ত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছে।
জনসমাবেশে বক্তারা জোর দাবি জানিয়ে বলেন, এই অপরাধীদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া চলবে না। এদের বিচার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশের আপামর মুসলিম তৌহিদী জনতা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ শেষে উপস্থিত তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে এসে রাখাল রাহা, সোহেল হাসান গালিব ও ধর্ষক আলেপের ছবিতে জুতো নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সাধারণ মুসলিম সমাজ রংপুর এর ব্যানারে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুম্মাপাড়া সদর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান, আল জামায়াতুল করিমিয়া নুরুল উলুম জুম্মাপাড়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা যুবাইর আহমাদ ও মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি শহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলার মুখপাত্র ইয়াসির আরাফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলী, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মুশফিকুর রহমান ফাহিম, আল নাহিয়ান খান জিসান, হাফেজ ইজতিহাদ মাহমুদ প্রমুখ।
হাআমা/