শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৫ মাঘ ১৪৩১ ।। ৯ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
বন্দি বিনিময়ের অপেক্ষায় থাকা ৩ জিম্মির নাম প্রকাশ করল হামাস খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নযোগ্য মনে করেন ৪৭ শতাংশ ইসরায়েলি সমন্বয়কদের নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটার দিবস উদযাপন করবে ইসি তীব্র বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিতে গাজায় বড় ভোগান্তি রংপুরে তুলার কারখানায় আগুন, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব ভারতের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি টানা ৬০ দিন, জামাতে নামাজ পড়ে ২০ কিশোরের পুরস্কার লাভ আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান

রংপুরে তুলার কারখানায় আগুন, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট বাজারে একটি তুলার কারখানাসহ পাশের চারটি ওষুধের দোকান অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার মালিকের দাবি, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী হবিবার রহমান হবির তুলার কারখানার পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সেখানে ক্রেনের মাধ্যমে নিচ থেকে নির্মাণ সামগ্রী তোলার সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আগুন ধরে যায়। যা তুলার কারখানাসহ আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীসহ দোকান মালিকদের।

বাজারের হোমিও চিকিৎসক আবদুল হাকিম বলেন, ক্রেনটি বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লাগলে তাৎক্ষণিক সেখানে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাশের তুলার কারখানায় বিকট শব্দ হয়ে ধোঁয়া উঠতে থাকে। পরে সেখানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আমরা উপায় না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিই। এরপর পাঁচটি ইউনিট এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

কারখানার মালিকের ছেলে মাসুদ বলেন, কারখানাটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল। সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা এসে দেখি, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভাচ্ছেন। এখন ছাই ছাড়া আর কিছুই দেখতেছি না। কীভাবে কী থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। আগুনের ধরন দেখে পাশে রংপুর সদর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারখানায় কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখন বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটাও তদন্তে পরবর্তীতে জানা যাবে।

রংপুর মহানগর পুলিশের পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজান বলেন, আমরা ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগে উৎসুক জনতাকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা থেকে কেউ কোনো মালামাল নিয়ে যেতে না পারে।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ