আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমা হয়। শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার পর ময়দান গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির কাছে ময়দান হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান।
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় শুরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে ছয় দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সরকার যে তিন শর্তে আমাদের ইজতেমা করার অনুমতি দিয়েছিল, আমরা সেই শর্ত মেনে ইজতেমা সম্পন্ন করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, এবার সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে বিশ্ব ইজতেমার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনার তিন সদস্যের কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ইজতেমা ময়দান প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির কাছ থেকে বুঝে নিয়েছি। যথাযথ নিয়মে পরবর্তী পক্ষকে ময়দান হস্তান্তর করা হবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তরের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক ওয়াহিদ হোসেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ—কমিশনার হাফিজুল ইসলাম, শুরায়ী নেজামের অধীনে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান, মেজবাহ উদ্দিন, আবু মামুন হাশেমী, আলমগীর হোসেন, রেজাউল করিম, মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শনিবার দুপুরের পর সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বিদের কাছে টঙ্গীর ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে সাদপন্থীদের ইজতেমা। তিনদিনের এ পর্বে মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাদের ইজতেমার কার্যক্রম।
এর আগে বুধবার শেষ হয়েছে শুরায়ী নেজামের অধীনে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। শুরায়ী নেজামের অধীনে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এমএইচ/