নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা এলাকায় দলছুট মুখপোড়া হনুমান ঘুরছে গাছে গাছে। খাবারের সন্ধানে হনুমানটি বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাটে ও লোকালয়ে আসছে। স্থানীয়রা হনুমানটিকে খাবার দিলে খাবার খেয়ে আবার গাছে উঠে যাচ্ছে। কখনো আবার বিভিন্ন বাড়ির চালায়, ছাদে উঠে যাচ্ছে। হনুমানটি দেখতে এলাকায় শিশু ও নারী পুরুষ ভিড় করছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ করে মাদলা হাটের একটি কড়ই গাছে হনুমান দেখতে পায় স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় হনুমানকে দেখতে পেয়ে এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় করেন। ভয়ে হনুমানটি বিভিন্ন গাছ থেকে গাছে লাফালাফি করতে থাকে। রাত বেড়ে গেলে হনুমানটিকে আর দেখা যায়নি।
এরপর বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। খাবারের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরতে থাকে। পরে এলাকাবাসী রুটি কলা ও অন্যান্য ফল খাবার দিলে সেটি খেয়ে আবার গাছে উঠে যায়। দুপুরে আবার বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে হনুমানটিকে দেখা যায়। শুধু খাবারের সময় মানুষের কাছে আসছে। এছাড়া বেশিরভাগ সময় গাছের ডালে ও বাড়ির চালা ও ছাদে বসে থাকছে। কখনো কখনো লাফালাফি করছে। এই হনুমান দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। হনুমানটির মুখটি কালো। পুরুষ হনুমান। এখন পর্যন্ত হনুমানটিকে সুস্থ বলে মনে হয়েছে।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা হাটের ব্যবসায়ী আলম মিয়া জানান, বুধবার সকালে হনুমানটি হাটের কড়ই গাছে এসে বসে। এসময় এলাকার উৎসুক জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমায়। পরে হাটের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হনুমানটিকে খাবার দিলে মানুষের কাছে এসে খাবার খাচ্ছে। খাওয়া শেষ হলে আবারো সে আশপাশের গাছে চলে যাচ্ছে। এর আগে গত এক বছর আগে একইরকম একটি হনুমান পাশের গ্রামে দেখা গিয়েছিলো। এছাড়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার একটি গাছে দেখা যায়।
তিনি বলেন, এলাকায় আসা নতুন এই হনুমানটি ফলের কোন ট্রাকে অথবা যশোর এলাকার কোন মালবাহী ট্রাকে করে দলছুট হয়ে এসেছে।
সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান জানান, দেশে এই প্রাণীটি খুব বেশি নয়। মূলত খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ার পর তারা দলছুট হয়ে যায়। সাধারণত যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ে কালোমুখো হনুমানের বিচরণ। হয়তো কোন খাবার খেতে ট্রাক বা কোন গাড়িতে উঠার পর সে দলছুট হয়ে বগুড়ায় এসেছে।