টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সংঘর্ষের ঘটনার পর বুধবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, দৃশ্যটি টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের পাশে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার।
ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত দৃশ্যটি টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের পাশে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের দৃশ্যের নয় বরং গত জুন মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে এমডি রাব্বি খান নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে “আমাদের রাজশাহী” নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে “কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাৎ আগুন” শীর্ষক ক্যাপশনে গত ২ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়।
উক্ত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়, যা নিশ্চিত করে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।
এছাড়া, একটি জাতীয় টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন; পুড়ে ছাই দুই শতাধিক ঘর” শীর্ষক শিরোনামে চলতি বছরের ১ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
সংবাদ প্রতিবেদনটিতে উক্ত আগুনের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের সঙ্গেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির আগুনের দৃশ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনের দৃশ্য দাবিতে এমডি ইউসুফ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২ জুনেও একটি ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়, যার সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
পরবর্তী অনুসন্ধানে জাতীয় একটি সংবাদপত্রে গত ০১ জুন প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকেও সেদিন কক্সবাজারের এক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুন লাগার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এছাড়া, ভাইরাল এই ভিডিওতে যে অডিওটি ব্যবহার করা হয়েছে তার সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন লাগার ঘটনার কোনো সম্পর্ক পায়নি রিউমর স্ক্যানার। প্রযুক্তির সাহায্যে ভিন্ন ঘটনার অডিও আলোচিত এ ভিডিওতে জুড়ে দেয়া হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
এনএ/