মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদপুর
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক রাতে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ডাকাত দল বানেশ্বরদী গ্রামের তৈয়াব মুন্সীর বাড়ি, সাইফুল মন্ডলের বাড়ি, ইদ্রিসের বাড়ি ও কটক খন্দকারের বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ অর্থ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়।
প্রবাসী সাইফুল মন্ডলের স্ত্রী রুনা বেগম বলেন, রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল আমার বাসায় সামনে এসে ডাকাডাকি করে এবং দরজা খুলতে বলে। আমি ঘুম থেকে জেগে দরজা খুলতে রাজি না হওয়ায় আমার দরজার কেচি গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। সবাই মুখোশ পরা এবং তাদের হাতে রামদা ছিল। আমি বাসায় একা থাকার সুবাদে ওরা আমাকে হাত বেঁধে ফেলে। পরে আমার বাসার সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও মেশিনটি খুলে নিয়ে যায়। এরপর আলমারি ভেঙ্গে আলমারিতে থাকা সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে আমার হাত বাধা অবস্থায় পাশে আমার চাচতো বোনের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যায়। আমাকে বলে পাশের বাড়ির তোর বোন রোকসানাকে ডেকে তুলবি। অস্ত্রের মুখে আমি বাধ্য হই আমার বোনকে ডেকে তুলতে। বোন আমার ডাকে দরজা খোলা মাত্র ডাকাতরা ভিতরে গিয়ে আমার বোনের বাড়িতে লুটপাট চালায়।
তৈয়াব মুন্সির স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, রাত আনুমানিক চারটার দিকে আমার বোন আমাকে ডাকলে দরজা খুলে দেয়। আমি বুঝে ওঠার আগেই ১০-১২ জন ডাকাত দল আমার ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার স্বামী তৈয়ব মুন্সী একটি মামলায় আসামী হয়ে জেলা হাজতে আছেন। ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে আমাদের পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে আলমারি ভেঙ্গে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্বর্ণলঙ্কা ও ৬ টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এভাবে এক এক করে চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে নিশ্চিন্তে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
এ ঘটনায় নগরকান্দা থানার এস আই আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে সরে জমিনে গিয়েছিলাম। তৈয়াব মুন্সী একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাই মনে হচ্ছে ঘটনাটি সাজানো নাটক। তৈয়ব মুন্সি যদি ডাকাতি নাটক সাজায় তবে অন্যান্য বাড়িতে ডাকাতের ঘটনায় জিজ্ঞাসা করা হলে এসআই বলেন অন্যান্য বাড়ির লোকদের কোনো অভিযোগ নেই।
এনএ/