রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৭ পৌষ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, কওমী মাদরাসার স্বাতন্ত্রতা ঠিক থাকবে এ বিষয়ে সকলে একমত। কওমী মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. এর আন্দোলনে আমার বাবা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. হসপিটাল থেকে রাজপথে শরীক হয়েছিলেন। তার উপস্থিতিতে শায়খুল হাদীস রহ. বলেছিলেন আমি আমার ডান হাত পেয়েছি। 

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আমরা কওমী মাদরাসার স্বাতন্ত্রতা বজায় রেখে যথাযথভাবে স্বীকৃতি ও অধিকার চাই। একজন কওমী মাদরাসার ছাত্র কে বিসিএএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া চরম বৈষম্য। একজন কওমীর ছাত্র বিসিএস এ অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ না হলে আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁকে কেন বিসিএস এ অংশ নিতে দেয়া হবে না? দেশের সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া হয়না। কওমী মাদরাসার ছেলেরা বিসিএসএ সরাসরি অংশ নিতে পারে না। আমরা চাই সকল ক্ষেত্রে কওমী মাদরাসার ছাত্ররা প্রতিযোগীতায় অংশ নিবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মডেল মসজিদে সবচেয়ে যোগ্য হওয়ার পরেও কওমী মাদরাসার ছাত্র হয়ে তারা মডেল মসজিদে খেদমত করতে পারে না। নৈতিক শিক্ষা না থাকায় দেশে দুর্নীতি বৃদ্ধি হচ্ছে। কাজী হিসেবে কওমী মাদরাসায় শিক্ষিতদেরকে নিয়োগ দিতে হবে। কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্রতা ঠিক রেখে তাদের সনদের মান নিশ্চিত করতে হবে। 

বৈষম্য নিরসনে কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এর আয়োজনে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার,সকাল থেকে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কাকরাইল এ জাতীয় সেমিনার ২০২৪ এ প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনা করেন।

শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আবদুল আউয়াল নারায়নগঞ্জ, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাসান জামিল,মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী,মাওলানা গাজী ইয়াকুব ও হাফেজ মাওলানা হামজা শহিদুল ইসলাম, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ প্রমূখ। জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী রেজাউল করীম আবরার, জয়েন্ট সেক্রেটারি শামসুদ্দোহা আশরাফীর সেমিনার এর পরিচালনা করেন।

শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, হায়াতুল উলিয়া ও বেফাককে বাদ দিয়ে পৃথক কোন বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না। অনৈক্য, কাদাছোড়াছুড়ি না করে ধর্ম উপদেষ্টাকে ছোট করা থেকে আমাদের বিরত থেকে তাকে কাজ করতে সহযোগিতা করতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী নিন্মে উল্লেখিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কওমী সনদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবীতে সেমিনার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান। এবং অক্টোবর মাসের শেষের দিকে একই দাবীতে ঢাকায় মহাসমাবেশ।

জেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ