মো. সাখাওয়াত হোসেন
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা সদরপুর সহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বৈরী আবহাওয়ায় (বৃষ্টিতে) রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
চলতি রবি মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষক মাঠে পেঁয়াজ, রসুন, গম, সরিষা ধনিয়া, মসুরি, কলাই, কালোজিরা ইত্যাদি জমিতে আবাদ করেছেন। ইরিধানের বীজতলায় বীজ বপন করেছেন। শীত মৌসুমের শুরুতে গত দুদিনের অকাল বৃষ্টি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষিজীবিরা।
আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া চলছে। যা গত বুধবার গভীর রাত থেকে মুষল ধারার টানা বৃষ্টিতে রবি শস্যের জন্য প্রস্তুতকৃত নীচু জমি ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াচরা, মাঝারদিয়া, সোনাখোলা, ছোটখারদিয়া, মানিকদী পেঁয়াজের চারা সহ মুরি কাটা পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ হয়।
বৃষ্টির কারণে বীজতলাসহ পেঁয়াজ ক্ষেত তলিয়ে গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় পেঁয়াজ চাষী জাফর মল্লিক।
সদরপুর উপজেলার ভাষানচর, চরবিষ্ণুপুর এলাকায় দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ হয়।
এলাকার জাহাঙ্গীর মৃধা জানান, ৫ বিঘা দানা ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ করেছি। টানা ২ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সবটা নষ্ট হয়ে যাবে। কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
আমিরাবাদের কৃষক সমীর ফকির জানিয়েছেন, কলাই, ধনিয়া আর গম বুনেছেন। টানা বৃষ্টিতে আংশিক অথবা সম্পূর্ণ ক্ষতির আশংকা করছেন তিনি।
রামচন্দ্রপুর এলাকায় বেশ কিছু ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। পাম্প লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু অব্যাহত বৃষ্টিতে তা বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এবিষয়ে সদরপুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসমাইল শরীফ জানিয়েছেন, এই মূহুর্তে রবিশস্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। দুই-তিন দিন না গেলে বোঝা যাবে না বৃষ্টিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভাঙ্গা উপজেলায় (পেয়াজের বীজ, পেঁয়াজ, রসুন, গম, কালোজিরা ইত্যাদি) রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এনএ/