|| কাউসার লাবীব ||
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজধানীর মুগদা থানাধীন মাণ্ডার মারকাজুল উলুম আল ইসলামিয়া ঢাকার শিক্ষক মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ ইন্তেকাল করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মাওলানা ইলিয়াস শরীফ।
তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, মাসিক ছুটি শেষে আমাদের মাদরাসার দুই জন শিক্ষক ওই ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন। মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ ছিলেন দুর্ঘটনার শিকার হওয়া প্রথম বগিতে। এর সামনের বগিতে ছিলেন আমাদের আরেক শিক্ষক মাওলানা আকরাম হুসাইন। তিনি মারাত্মক আহত হন। তারা উভয়েই আমাদের মাদরাসার নুরানী বিভাগের শিক্ষক।
মাওলানা শরীফ হাসান বলেন, মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করেননি। সেখানে মারাত্মক আহত হলে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছিলো। নরসিংদী আসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সেখানেই একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকার পৈলনপুর গ্রামে। তার ছয় মাসের একটি সন্তান রয়েছে। আগামীকাল সকালের দিকে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত মাওলানা আকরাম হুসাইন চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে আছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারো সিন্ধুর গোধুলী ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল, আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল ভৈরব থেকে ঢাকায়। ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের নিচে এখনও অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কেএল/