শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারসহ ধর্ষকের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে জামিয়া দারুল উলূম মিরপুর ঢাকার সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে মিরপুরের সাড়ে এগারো কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ আরম্ভ হয়। পরে মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মিছিলটি প্রধান ফটক হয়ে মিরপুর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্লবী ঈদগাহ মাঠে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাওলানা রাকিবুল ইসলাম বলেন, এই লাকি কিভাবে সাহস পায় রাস্তায় নামার। এই লাকি কি জানে না, ভারতের তাবেদারি বাংলাদেশে আর চলবে না। এই লাকি কি জানে না শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে। সে কেন রাস্তায় নামলো? যে ঘটনাগুলো এখন ঘটছে দেশের মানুষের জন্য তা গ্রহণযোগ্য নয়।
তরুণ ছাত্রনেতা ত্বহা মাহমুদ জানান, আপনারা জানেন আগামীকাল দেশ বিরোধী শাহবাগী শক্তি গণ মিছিলের নামে ভারতের প্রেসক্রিপশনে মাঠে নামবে। শাহবাগীদের শক্ত হাতে দমন করব আমরা। এবং প্রশাসনকে বলব এই দেশ বিরোধী শাহবাগীদের দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করতে।
স্লোগানে স্লোগানে লোকান্তরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল, 'শাহবাগ নো মোর’, ‘ল’তে লাকি তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘চব্বিশের বাংলায় শাহবাগের ঠাঁই নাই’, ‘শাহবাগীরা হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে’ ইত্যাদি।
অতিথি ভাষণে খতীব মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি চক্রান্ত বা বিদেশি প্রেসক্রিপশনে চলবে না। ২০১৩ সালে শাপলায় যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার বিচার করতে হবে। আমরা লাকিসহ সকল দেশবিরোধী শাহবাগীদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই ২৪ পরবর্তীতে বাংলাদেশে আর কখনো শাহবাগ কায়েম সম্ভব হবে না। প্রসাশনকে বলতে চাই এই আওয়ামী লীগ ও শাহবাগীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাস্তির মুখোমুখি করেন।
বিকাল তিনটায় অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে জানিয়ে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন মাওলানা মাহফুজুল হক।
হাআমা/