বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস।
আজ বুধবার সন্ধা ৫:৪৫ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে এ দিবস পালিত হয়।
সভায় কওমী মাদরাসার তলাবায়ে কওমিয়ার অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ড.আব্দুস সামাদ সম্পাদক, আস-সাক্বফা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শাইখ শরিফুল ইসলাম ইমদাদি রাহাত (প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, জামিয়াতুল উসস্তায শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী (রাহি.) ঢাকা, শাইখ ফরিদ উদ্দিন মাদানী (শিক্ষাবিদ, মারকাযু শাইখিল ইসলাম আল মাদানী, ঢাকা), মুফতি সাঈদ আহমদ খান নদভী (মুশরিফে আ'লা, ইফতা বিভাগ, জামিয়া আজিজিয়া দারুল উলুম দেওভোগ,মুন্সিগঞ্জ), মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ নাসিম নদভী (আদব বিভাগীয় প্রধান, জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম বাংলাদেশ, ঢাকা), মুফতি মুহাম্মাদ সা'দ বিন মাজহারুল ইসলাম (সিনিয়র মুফতি, আল জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম বাংলাদেশ, ঢাকা), মুফতি ফরহাদুল ইসলাম (মুশরিফ,আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, জামিয়াতুল উস্তায শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী (রাহি.) ঢাকা), মুফতি আ স ম আল আমিন (সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক, বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মাদরাসাতুন নূর আল আরাবিয়া বাংলাদেশ, আফতাবনগর, ঢাকা)।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আরবি ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী একটি ভাষা। ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার ২৮তম অধিবেশনে এ ভাষাকে দাফতরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ ভাষার সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিশ্বের ২২টি দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি। ইউনেস্কো এই ভাষাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ ডিসেম্বরকে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরবি ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ধর্মীয় বিবেচনা, বৈশ্বিক ও কুটনৈতিক অঙ্গনে এ ভাষা চর্চা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের বৃহৎ একটি অংশ আরবি ভাষাভাষী মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে অর্জন করে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি আরবি ভাষা শিখতে ও চর্চা করতে পারে, তাহলে তারা দেশের উন্নয়নে আরো অবদান রাখতে পারবে।
তারা বলেন, জাতিসঙ্ঘের ছয়টি ভাষার মধ্যে অন্যতম ভাষা আরবি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশে আরবি ভাষাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না। অথচ একজন শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে এ ভাষা শিখে দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গবেষণা করতে পারে। তাই এ ভাষাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। আরবি ভাষা বিস্তারে এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক মাওলানা আসাদুজ্জামান নূর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব, হাফেজ আব্দুর রহিম, আফিস সম্পাদক হাফেজ হেলাল উদ্দিন কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক, বাংলাদেশ কওমী ছাত্রপরিষদ।
হাআমা/