বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২২ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যতদূর চোখ যায়  শুধু মানুষ আর মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামি মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশে যতদূর চোখ যায়  শুধু মানুষ আর মানুষ। সেখানে সারাদেশ থেকে আলেম-ওলাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আসতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভোর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের সম্মেলনস্থলে আসতে দেখা যায়। এ সম্মেলন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ, নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয় ও হাইকোর্টের সামনের দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিক যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিপুল পরিমাণ জনতার ঢলে রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট। গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নীলক্ষেতসহ সোহরাওয়ার্দীর দিকে আসা প্রতিটি রাস্তায় ছিলো বিপুল ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা শিক্ষার্থী মাহাথির মোহাম্মদ লেমন বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা তাকে দেশে এনে মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের দাওয়াতের কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদসহ টঙ্গী ইজতেমায় বিভক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে অথচ দেশের অধিকাংশ আলেম-ওলামাসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার বিপক্ষে। এমতাবস্থায় যদি তাকে দেশে আনার পায়তারা করা হয় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবার আশঙ্কা থেকেই আমাদের আজকের এই সম্মেলন।

এসময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাকে করে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী ও পানি বিতরণ করতে দেখা যায়।

এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন, এবং দ্বিতীয় পর্বে অন্য পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা বিরোধিতা জানান এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ