|| হাসান আল মাহমুদ ||
শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে শাইখে সানী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী। তিনি জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার দীর্ঘদিনের নাজেমে তা'লীমাত ছিলেন।
আওয়ার ইসলামকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মুফতী মকবুল হুসাইন কাসেমীর জামাতা মাদরাসা দারুত তাকওয়া ঢাকার পরিচালক মুফতি রুহুল আমীন নোমানী।
পড়ুন : বারিধারা মাদরাসা থেকে বিদায় নিলেন নাজিমে তালিমাত মুফতী মকবুল হুসাইন কাসেমী
তিনি জানান, ‘রাহবারে মিল্লাত আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী ( রহ.)- এর হাতে গড়া শাগরিদ, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার ৩৩ বছরের নাজিমে তালিমাত আল্লামা মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমীকে দেশবরেণ্য আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ সাহেব পরিচালিত শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে শাইখে সানী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তিনি শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে বুখারী ২য় ও তিরমিজি ১ম খন্ড দরস দিবেন মর্মে নিয়োগ পেয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, সদ্য গত রমজানের মাঝামাঝি সময়ে মুফতী মকবুল হোসাইন কাসেমী বারিধারা মাদরাসা থেকে বিদায় নেন। তিনি এ মাদরাসায় দীর্ঘ ৩৩ বছর শিক্ষকতা করেন। দীর্ঘ এই বছরগুলোতে তিনি জামিয়ার মালি ছিলেন। জামিয়াকে সাজিয়েছেন ফল-ফসল আর পত্র-পল্লবে।
তিনি ১৯৯০ সালে বারিধারা মাদরাসার খেদমতে যোগ দেন। খেদমতের প্রথম বছর তিনি তিরমিযি ১ম খণ্ড সহ অন্যান্য কিতাবাদী দরস দেন।
তিনি সিহাহ সিত্ত্বার সকল কিতাব পাঠদান করিয়েছেন, ২০১৩ সালে আল্লামা নুর হুসাইন কাসেমীর বোখারী আউয়াল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় দরস দান করেছেন।
খেদমতের ৩ বছর পর ১৯৯৩ সালে তিনি বারিধারা মাদরাসার নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) এর দায়িত্ব লাভ করেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।
হাআমা/