হজযাত্রীদের সুবিধায় সরকারের যত উদ্যোগ
প্রকাশ:
১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
হজের সময় আরও দেড় মাসের মতো বাকি থাকলেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। অন্তর্বর্তী সরকার এবার হজযাত্রাকে নিরাপদ ও সাচ্ছন্দময় করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে। হজে যাওয়া-আসা এবং পবিত্র হজ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হজ টাস্কফোর্স-২০২৫ গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্সের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৯ এপ্রিল শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে। এর আগে ২৭ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও হজ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশের আশকোনা হজ ক্যাম্প, মক্কা ও মদিনায় হজ ক্যাম্পে এ ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। এ সেন্টার থেকে হজযাত্রীদের বিভিন্ন সেবা, উদ্ভূত সমস্যার সমাধান দেওয়া হবে। এছাড়া অ্যাপ ব্যবহার করেও পাবেন বিভিন্ন সুবিধা। এ অ্যাপ বাংলা ভাষায় রিয়েল টাইম নির্দেশনা ও সহায়তা দেবে। আগামী ২৭ এপ্রিল হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও অ্যাপ প্রধান উপদেষ্টা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। এ জন্য একটি ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্বল্পমূল্যে রোমিং (বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করে সৌদি আরবের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার) সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে হজযাত্রীদের লাগেজ ট্র্যাকিং করার ব্যবস্থাও চালু হচ্ছে। অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হজযাত্রীরা প্রতিদিন ওই দিনের করণীয় ও যাতায়াতের বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারবেন। যেদিন যে দোয়া পড়তে হবে সেটি স্মরণ করিয়ে দেবে, যেসব পবিত্র স্থানে যাবেন সেসবের ছবিসহ ইতিহাস বর্ণনা করবে। হাজিদের মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে কল সেন্টারে ফোন করে সে প্রশ্নের উত্তর পাবেন। শরীর খারাপ লাগলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন কল সেন্টারের কর্মরতরা। হাজিদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটি পরামর্শ পৃষ্ঠায় লিখে দিতে পারবেন। ভ্রমণের দৈনন্দিন ঝামেলা যেন হজের মূল লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সব ব্যবস্থা অ্যাপে থাকবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সূত্র জানিয়েছে, হজযাত্রীদের পরিবহন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হিসেবে ৪৩ হাজার ৫৫০ জন এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ হিসেবে ৪৩ হাজার ৫৫০ জন হজযাত্রীর মধ্যে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৩৫ শতাংশ ও ফ্লাইন্যাস এয়ারলাইন্সে ১৫ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এ বছর মদিনায় ২০ শতাংশ এবং মক্কায় ৮০ শতাংশ হারে ফ্লাইট সিডিউলে হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের (জিএসিএ) কাছে এয়ারলাইন্সগুলোকে ফ্লাইট সিডিউল জমা দিতে হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও সহযোগিতার জন্য হজযাত্রীদের সঙ্গে মোয়াজ্জেমসহ বিভিন্ন টিমের সদস্য সৌদি আরব যাবেন। এনএইচ/ |