সুযোগ হলে ফিলিস্তিন গিয়ে জিহাদ করব : হেফাজত মহাসচিব
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৫৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের কর্তব্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া। কোনো কাফেরি শক্তি বা ইহুদিবাদ যদি মুসলিম রাষ্ট্র দখল করার চেষ্টা করে, তখন মুসলমানদের জিহাদ করা ফরজ হয়ে যায়। যদি সুযোগ হয়, আমরা ফিলিস্তিন গিয়ে জিহাদ করব।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে পৌর এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘এমন একদিন আসবে, যেদিন পৃথিবীর বুকে ইসরায়েলের কোনো চিহ্ন থাকবে না। কিয়ামতের আগে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে একটা যুদ্ধ হবে। মুসলমানরা সেই যুদ্ধে জয়ী হবে।

তিনি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন, ইহুদিরা হলো মুসলমানদের এক নম্বর শত্রু, ইসলামের শুরু থেকে ইহুদীবাদ মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ইসলামের বিরুদ্ধে। স্বয়ং রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে একটি সুসংবাদ জানাতে চাই, সেটি হল বুখারি শরীফের হাদিসে বলা আছে, কিয়ামতের আগে মুসলমান এবং ইহুদিদের মধ্যে একটা যুদ্ধ হবে। আর এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হবে। সেদিন ইহুদিরা গাছের পেছনে, পাথরের পেছনে আত্মরক্ষার জন্য পলায়ন করবে। তখন আল্লাহতালা সেই পাথর, সেই গাছের জবান খুলে দেবেন। এই গাছ-পাথর বলবে, হে মুসলিম সৈনিক আমি গাছ এবং পাথরের পেছনে ইহুদি লুকিয়ে আছে তোমরা এসে তাকে হত্যা করো। সেদিন আর বেশি দূর নয়। সেদিনের বেশি বাকি নেই।’

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, ‘একটি ফতোয়া- কোনো ইহুদীবাদ কাফেরি শক্তি যদি কোনো মুসলিম রাষ্ট্র দখল করে, তখন সকল মুসলমানদের ওপর জিহাদ করা ফরজ হয়ে যায়। তাই আমরা সকলে জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেই। যখন সুযোগ সৃষ্টি হবে তখনই আমরা ইসরাইলে গিয়ে জিহাদ করব।’ 

হেফাজত মহাসচিব তার বক্তব্যে সব ধরনের ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুধু মুসলমানদের জন্য কর্তব্য নয়, সমগ্র মানবজাতির কর্তব্য।

গাজায় যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, এটি মানবতাবিরোধী কাজ। অতএব যারা মানবতার দাবিদার, তাদের এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। এ ব্যাপারে মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’

ইসরায়েলে নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। তার অবিলম্বে বিচার হওয়ার দরকার।’

এমএইচ/