রমজানের শেষ দশকের গুরুত্ব ও লাইলাতুল কদরের মহিমা
প্রকাশ:
২৩ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| শায়খ ড. ফয়সাল বিন জামিল গাজাবি || (২১-০৯-১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২১-০৩-২০২৫ ঈসায়ি তারিখে বায়তুল্লাহ শরীফে প্রদত্ত জুমার খুতবা) দিনগুলো কত দ্রুত কেটে যায়, মাসের ঘণ্টার মতো! আর বছরগুলো যেন এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়! আমাদের জীবনের সময় কীভাবে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, তা গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। কেননা, দিনগুলোর এই দ্রুত গতি আমাদের জীবনের সমাপ্তির দিকেই ইঙ্গিত করছে। যেমন আমরা দেখেছি, এই বরকতময় মাসের প্রথম দশক শুরু হলো, তারপর মধ্য দশকও একের পর এক কেটে গেল, আর এখন শেষ দশক এসে গেছে। আল্লাহ! কী দ্রুত এই দিনগুলো চলে যাচ্ছে! কী তাড়াতাড়ি এর ঘণ্টারাও ফুরিয়ে যাচ্ছে! মনে হয় যেন কিছুই ছিল না, সব অতীত হয়ে গেল! অতীত তো অতীতই, সেটি আর ফিরে আসবে না। আল্লাহ আমাদের ওপর অনুগ্রহ করে এই শেষ দশক পর্যন্ত পৌঁছার সুযোগ দিয়েছেন। এই দিনগুলো অত্যন্ত মূল্যবান, এতে অসংখ্য বরকত ও কল্যাণ লুকিয়ে রয়েছে। অতএব, আমাদের মধ্যে কে সেই ব্যক্তি, যে আন্তরিকভাবে এই সময়ের যথাযথ সদ্ব্যবহার করে এর কল্যাণ লাভ করবে? যারা কল্যাণের প্রতিযোগিতায় অগ্রসর, তারা বছরের পর বছর ধরে এই দশ রাতের জন্য অপেক্ষা করে, যেন তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। আর যখন তারা এই রাতগুলো লাভ করে, তখন তারা তাদের চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে বলে আনন্দিত হয় ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। রমজান মাস রহমত ও বরকতের মাস। এর সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হলো শেষ দশক, যা অসংখ্য কল্যাণে পরিপূর্ণ। আর এই দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হলো লাইলাতুল কদর, যার ফজিলত লাভের জন্য প্রত্যেক মুমিন প্রতিযোগিতা করে। এই রাতের মাধ্যমে মহান পুরস্কার ও উচ্চ মর্যাদা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এ জন্যই যখন এই দশক প্রবেশ করত তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক পরিমাণে নেক আমল করতেন। ইবাদত ও নেক আমল করতে ধৈর্য ও অধ্যবসায় প্রয়োজন। মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ اَجۡرَہُمۡ بِغَیۡرِ حِسَابٍ অর্থাৎ, 'ধৈর্যশীলদেরকে অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।’ (সূরা যুমার, আয়াত: ১০) এজন্য এই দিনগুলোতে ও সর্বদা ধৈর্য ধরে আল্লাহর আনুগত্যে লেগে থাকা উচিত, যেন আমরা বড় পুরস্কার লাভ করতে পারি। কোনো সুযোগ যেন নষ্ট না হয়, যাতে পরবর্তী সময়ে আমাদের আফসোস করতে না হয়। আল্লামা ইবনুল জাওজি রহ. বলেছেন, 'মানুষ কত সময় অপচয় করে! অথচ সে যদি বুঝত, একটি ছোট ভালো কাজও বিশাল পুরস্কারের কারণ হতে পারে! এই দিনগুলো যেন একটি ক্ষেতের মতো, যেখানে যত বেশি বীজ বপন করবে, তত বেশি ফসল পাবে। তাহলে কি একজন বুদ্ধিমান কৃষক চাষাবাদে অলসতা করবে?' ইবনু রজব হাম্বলি রহ. বলেছেন, 'হে সেই ব্যক্তি, যে নিজের জীবনকে আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া কাটিয়েছে! হে সে ব্যক্তি, যে শুধু সময় নষ্ট করেছে, দুনিয়াতেই নয়, বরং এই বরকতময় মাসেও! যার একমাত্র পুঁজি দেরি করা ও গাফলতি—তার জন্য কতই না দুর্ভাগ্য! যে কুরআন ও রমজানকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষী বানিয়েছে, সে কিভাবে আশা করে যে, এগুলো তার জন্য সুপারিশ করবে? প্রিয় ঈমানদারগণ! সময় শেষ হওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি করো, মৃত্যুর আগে সতর্ক হও! আমাদের মহান প্রভু আমাদেরকে ভালো কাজে দ্রুত এগিয়ে যেতে ও তাঁর নৈকট্য অর্জনে প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَسَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَجَنَّۃٍ عَرۡضُہَا السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ অর্থাৎ, 'তোমরা ধাবমান হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে আর সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও যমিনের ন্যায়, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্যে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৩) রমজানের দিনগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বরং, এর দুই-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। এখন কেবল শেষ দশকই বাকি। কিন্তু এই শেষ দশকের মর্যাদা পুরো মাসের চেয়েও বেশি। এটি এমন এক সময়, যখন বান্দা ইবাদত ও একনিষ্ঠতার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা, গুনাহ থেকে মুক্তি ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভের সুযোগ পায়। সুতরাং কীভাবে একজন বুদ্ধিমান মানুষ এই সুযোগ হাতছাড়া করবে? কীভাবে একজন বিবেকবান এই কল্যাণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে? আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের প্রভুর দিকে ফিরে আসো এবং তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী প্রতিটি ভালো কাজে অংশ নাও। যারা গাফিল, তাদের মতো গাফিল হয়ে যেও না। বরং তোমার পরিবার ও আপনজনদের সহায়তা করো, যেন তারা এই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারে। চেষ্টা করো তাদের উপকার করতে, তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে। তোমাদের তওবা নবায়ন করো, একান্তে আল্লাহর সঙ্গে সময় কাটাও ও তাঁর কাছে প্রার্থনা করো, যেন তোমাদের মন প্রশান্ত হয়। এই দিনগুলোতে আল্লাহর জিকির, দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াত বাড়িয়ে দাও। মনে রেখো, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত হলো সেই কাজ, যা তিনি ফরজ করেছেন। তাই আমরা যেন ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে গাফিল না হই। একটি মারাত্মক ভুল হলো—কেউ রাতে নামাজ ও ইবাদতের জন্য জেগে থাকে, কিন্তু ক্লান্তির অজুহাতে দিনের ফরজ সালাত, বিশেষ করে যোহরের নামাজ, সময়মতো পড়ে না বা একত্রে পড়ে নেয়। এটি খুবই গর্হিত কাজ। আমরা যতটা তাহাজ্জুদ ও অন্যান্য নফল ইবাদতে মনোযোগ দিই, ততটাই গুরুত্ব দিতে হবে ফরজ ইবাদতে। একজন মুসলিমের উচিত সব ইবাদতে ভারসাম্য রক্ষা করা ও ফরজ ইবাদতকে অগ্রাধিকার দেওয়া। সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত ও নফল ইবাদতকেও অবহেলা না করা। এটি আরও ভয়ংকর ও বিপজ্জনক যে, কিছু মানুষ রমজানে রোজা রাখে, কিন্তু নামাজ পড়ে না! আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিন। বরং তারা প্রকাশ্যে নামাজ ত্যাগ করার কথা স্বীকার করে, অথচ আল্লাহ আমাদেরকে নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া ও তা প্রতিষ্ঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতো বড় গুনাহ ও ভয়ংকর ক্ষতির কাজ আর কী হতে পারে! যে ব্যক্তি নামাজের মতো শ্রেষ্ঠ ইবাদত নষ্ট করে, সে অন্যান্য ফরজ কাজগুলোকেও হেলায় হারিয়ে ফেলে। কেননা, নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ ও মূল ভিত্তি। তাই যারা নামাজের ব্যাপারে গাফিল, তাদের উচিত দ্রুত তওবা করা, কারণ মৃত্যু যখন এসে যাবে, তখন আর তওবা করার সুযোগ থাকবে না। সময় শেষ হওয়ার আগেই নিজেকে সংশোধন করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, فَخَلَفَ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ خَلۡفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوۃَ وَاتَّبَعُوا الشَّہَوٰتِ فَسَوۡفَ یَلۡقَوۡنَ غَیًّا ۙ اِلَّا مَنۡ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ وَلَا یُظۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ۙ অর্থাৎ, 'এদের পরে এলো অপদার্থ পরবর্তীরা, তারা সালাত নষ্ট করল ও লালসা-পরবশ হল। সুতরাং এরা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু এরা নয়-যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে। এরা তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। এদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না।' (সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫৯-৬০) আল্লাহর বান্দাগণ! আমাদের অবশ্যই সেসব বিষয় থেকে সতর্ক থাকতে হবে, যা আমাদের সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দেয় ও গোমরাহির দিকে নিয়ে যায়। এমন সব কাজ ও বিনোদন থেকে দূরে থাকতে হবে, যা আমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখে। আমাদের চোখ ও কানকে হারাম ও ফিতনার জিনিস থেকে রক্ষা করতে হবে। কেননা, যখন দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারামে লিপ্ত হয়, তখন তা শুধু পাপের দিকে ধাবিত হয়। আর দীর্ঘ জীবন পাওয়ার আশা যেন আমাদের ভালো কাজ থেকে দূরে সরিয়ে না দেয়। আমাদের উচিত আল্লাহর প্রতি বিনয়ী হওয়া, তওবা করা ও এমন কাজ করা, যা কবরে শান্তি দেবে ও কেয়ামতের দিন আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, শেষ দশ রাত পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ দিয়েছেন। এটি তাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ, যারা এর আগের দিনগুলোতে গাফলতি করেছে। আর যারা শুরু থেকেই ইবাদতে পরিশ্রম করেছে, তাদের জন্য এটি আরো বরকতময় ও আমল বাড়ানোর সময়। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দশকে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ইবাদত করতেন। তিনি ইতিকাফ করতেন, লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতেন, রাত জেগে ইবাদত করতেন, পরিবারকে নামাজে জাগিয়ে দিতেন ও ইবাদতে মেহনত করতেন। হযরত আয়েশা রা. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি 'লাইলাতুল কদর' জানতে পারি, তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেন, তুমি বল: اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي 'হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও।' (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩) তাই আমাদের উচিত এই রাতগুলোতে আল্লাহর রহমত ও দয়ার সন্ধান করা, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও ইবাদত-বন্দেগি বাড়িয়ে দেওয়া। সময় নষ্ট করা ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। কারণ হতে পারে, এই বছরের পর আর কখনো আমরা এই বরকতময় রাতগুলো ফিরে পাব না—মৃত্যু আমাদের কাছে চলে আসতে পারে! এই শেষ দশ দিনের এত বড় মর্যাদা ও গুরুত্ব যদি কেবল লাইলাতুল কদরের কারণে হতো, তাহলেও তা যথেষ্ট হতো। মহান আল্লাহ বলেন, لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ অর্থাৎ, 'লাইলাতুল কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।' (সূরা কদর, আয়াত: ৩) এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ। হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ অর্থাৎ, 'যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে।' (সহিহ বুখারী, হাদিস: ১৯০১) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ অর্থাৎ, 'তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান কর।' (সহিহ বুখারী, হাদিস: ২০১৭) বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হযরত আনাস বিন মালিক রা. বলেন, রমজান মাস শুরু হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের নিকট এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।' (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৪) তাই দৃঢ় সংকল্প নাও ও নিজের মনোবলকে জাগিয়ে তোলো।যে ব্যক্তি এই রাতের ফজিলত লাভ করল, সে সফল ও লাভবান হলো। আর যে ব্যক্তি তা হারাল, সে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত রইল। অতএব, হে প্রিয় ভাইয়েরা! পবিত্র রমজানের এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাও, গাফলতি ও অবহেলা থেকে সাবধান হও। কারণ, বরকতের এই দিনগুলো সীমিত ও ফজিলতের সময়গুলো সংক্ষিপ্ত। তাই হে কল্যাণপ্রত্যাশী! এগিয়ে আসো। হে আল্লাহর ক্ষমা আকাঙ্ক্ষী! তওবার দিকে ফিরে আসো। হে জান্নাতের অনুসন্ধানকারী! অগ্রসর হও। আর হে পাপের পথের পথিক! থেমে যাও। অনুবাদ: আবদুল কাইয়ুম শেখ হাআমা/ |