৯০০ বছর ধরে মসজিদটিতে কোরআন তেলাওয়াতের ঐতিহ্যে ছেদ পড়েনি!
প্রকাশ: ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

তুরস্কের ঐতিহাসিক সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মসজিদ। এই মসজিদটিতে পবিত্র রমজানে ‘মুকাবেলে’ এর চর্চা চলে এসেছে প্রায় ৯০০ বছর ধরে।  একাধিক ব্যক্তির একে অন্যকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে শোনানোর বিশেষ পদ্ধতিকে ‘মুকাবেলে’ বলা হয়। ইতিহাসের নানা উত্তান-পতন ও বাঁক পরিবর্তনেরও বিগত দিনে এই ঐতিহ্যে কোনো ছেদ পড়েনি। 

রবিবার (৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই খবর তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বরাবরের মতো এবারের রমজানেও তুরস্কের শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদে কোরআন তিলাওয়াতের ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকিরের সিলভান জেলায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন সালাহাদ্দীন আইয়ুবী মসজিদটি নয় শতাব্দী (৯০০ বছর) ধরে মুকাবেল’র ঐতিহ্য পালন করে আসছে। 

১১৮৫ সালে নির্মিত মসজিদের প্রবেশপথের শিলালিপি অনুসারে, পবিত্র রমজান মাসে দুপুর ও বিকেলের (যোহর ও আসর) নামাজের পর মসজিদে মুকাবেলে অংশগ্রহণকারীরা মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) সুন্নাহের ওপর ভিত্তি করে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।

মুকাবেলের সময় ইবাদতকারীরা ধর্মীয় কর্মকর্তাদের কোরআন তিলাওয়াত অনুসরণ করেন এবং যারা তিলাওয়াত জানেন না তারা আয়াত পাঠ করা শোনেন। সিলভান জেলা মুফতি মুরাত ডেমির বলেন, মসজিদটিতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্যই ভিড় হয়, বিশেষ করে দুপুর এবং বিকেলের নামাজে আরও বেশি মানুষ উপস্থিত হন।

তিনি আরও বলেন, এই মসজিদটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর প্রায় এক হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সূত্র অনুসারে, ১০৩১ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। আবার অনেকের মতে, এটি আরতুকিদ আমলে নির্মিত হয়েছিল, যার রেকর্ড ১১৫২ সাল থেকে রয়েছে।

 পরবর্তীতে আইয়ুবী আমলে সালাহাদ্দিন আইয়ুবী মসজিদটি সংস্কার করেন, যার কারণ মসজিদটি তার নামই বহন করছে।

দোকানি মুস্তাফা ডেমিরার তার প্রবীণ ও পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে মসজিদটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, মসজিদটি ৮৫০ থেকে ১০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত। আমরা এখানে আমাদের নামাজ, রমজানে মুকাবেলে, তারাবিহ’র নামাজ এবং অন্যান্য পবিত্র দিনগুলোতে আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে আসছি।

এনআরএন/