দ্বীন ও দুনিয়ার সুস্থতা মহান এক নেয়ামত:বাইতুল্লাহ শরীফের খতিব
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

শায়খ ড. সালেহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ
 (২২-০৮-১৪৪৬ হিজরি মোতাবেক ২১-০২-২০২৫ ঈসায়ি তারিখে বাইতুল্লাহ শরীফে প্রদত্ত জুমার খুতবা)

যদি কোনো ব্যক্তি একনিষ্ঠচিত্তে ইখলাসের সাথে কাজ করে, তাহলে সে কখনও তার ভালো কাজ অন্য কেউ ভুলে যাওয়ার কারণে আফসোস করে না এবং কাউকে উপকার করার পর বদলা না পাওয়ার কারণে হতাশ হয় না। ভালো কাজ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পথ নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'আর তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়, কেবল তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়; সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে।' (সূরা লাইল, আয়াত: ১৯-২১)

হে আল্লাহর বান্দা, কোনো ভালো কাজ করার পর আফসোস করো না, যদিও তা যার জন্য করা হয়েছে সে তার যোগ্য না হয়। কারণ তুমি নিজেই সেই কাজের যোগ্য। আর কেউ যদি তোমার উপকারের প্রতিদান না দেয় বা তা অস্বীকার করে, তাহলেও ভালো কাজ করতে দেরি করো না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হতে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়।' (সূরা ইনসান, আয়াত: ৯)

একটি মিষ্টি কথা হলো সুগন্ধি আতরের মতো, যা চারপাশে ছড়িয়ে পড়া এক সদকা। এমনকি, একটি ভালো দোয়াও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ হতে পারে। একটি মহান প্রার্থনা ঈমানের পর সবচেয়ে মূল্যবান উপহার  ও শ্রেষ্ঠ চাওয়া। এটি ছাড়া দুনিয়া বা আখেরাতে শান্তি আসে না। সুখী মানুষের সঙ্গী ও সুস্থ মানুষের মুকুট হলো 'আফিয়ত' বা সুস্থতা ও নিরাপত্তা। এই আফিয়ত চাওয়া হয় সকালে, সন্ধ্যায়, ঘুমানোর সময়, জেগে উঠার সময়, এমনকি সব কাজের মধ্যে। এটাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। হে আল্লাহ, আমরা আপনার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও চিরস্থায়ী আফিয়ত প্রার্থনা করি।হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রা. মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, 'হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমি আল্লাহর কাছে চাইতে পারি।' বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, 'আল্লাহর কাছে আফিয়ত চাও।' কিছুদিন পর তিনি আবার এ অনুরোধ করলে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, 'হে আব্বাস, হে আল্লাহর রাসূলের চাচা, দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহর কাছে আফিয়ত চাও।' (সহীহ বুখারী)

হযরত আবু বকর রা. মিম্বারে উঠে কাঁদলেন ও বললেন, 'গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে কেঁদেছিলেন ও বলেছিলেন, 'আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আফিয়ত চাইবে, কারণ ঈমানের পর আফিয়তের চেয়ে উত্তম কিছু কাউকে দেওয়া হয়নি।' (আলআদাবুল মুফরাদ)

উলামায়ে কেরামের মতে, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্নভাবে প্রায় ৫০টি স্থানে আফিয়তের জন্য দোয়া করেছেন। এই দোয়া সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ও সব রকমের কল্যাণ অর্জন করার শক্তিশালী হাতিয়ার। হযরত আয়েশা রা. বলেছিলেন, 'যদি আমি জানতাম কোনো রাত লাইলাতুল কদর, তাহলে শুধু আল্লাহর কাছে আফিয়তই চাইতাম।' সুতরাং, আমাদেরও উচিত সবসময় আল্লাহর কাছে এই দোয়া করা, 'হে আল্লাহ, আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও আফিয়ত দান করুন।'

প্রশ্ন হলো, আফিয়ত কী? ইমাম লাইস রহ. বলেছেন, 'আফিয়ত হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দার সুরক্ষা।' যখন কোনো বান্দা আল্লাহর কাছে আফিয়ত প্রার্থনা করে, তখন সে আল্লাহর কাছে অনুরোধ করে যেন তিনি তার সব ক্ষতি দূর করে দেন। আল্লাহ যদি কোনো ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন, তাহলে সেটাই আফিয়ত।

আফিয়ত চাওয়া এমন এক দোয়া যা দুনিয়া ও আখেরাতের সব ধরনের বিপদ থেকে সুরক্ষার জন্য করা হয়। আফিয়ত তিনভাগে বিভক্ত:
১) ক্ষমা– অতীতের পাপ থেকে মুক্তি।
২) আফিয়ত– বর্তমানের বিপদ থেকে রক্ষা।
৩) মুআফাত – ভবিষ্যতের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, 'এই তিনটি বিষয়ই আফিয়তের ধারাবাহিকতা ও স্থায়িত্ব নির্দেশ করে।'

আফিয়ত ছয় ধরনের:
১) দ্বীনের আফিয়ত: এটি সত্যের উপর দৃঢ় থাকা, মিথ্যা ও তার অনুসারীদের থেকে দূরে থাকা, কুফর, ভ্রষ্টতা, মুনাফিকি, পাপাচার ও বড় বা ছোট সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা। এছাড়াও, খারাপ আকাঙ্ক্ষা, সন্দেহ, বিদআত ও ফিতনা থেকে নিবৃত্ত থাকা।
২) দেহের আফিয়ত: এটি শারীরিক সুস্থতা, রোগ-বালাই থেকে রক্ষা পাওয়া ও মন থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর হওয়া।
৩) আখেরাতের আফিয়ত: মৃত্যুর সময়ের কষ্ট, কবরের ফিতনা ও কেয়ামতের ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
৪) দুনিয়ার আফিয়ত: শারীরিক সুস্থতা, রোগ ও বিপদ থেকে বাঁচা, মানসিক প্রশান্তি, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।
৫) সন্তানদের আফিয়ত: তাদের সঠিক পথে চলা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় দিক থেকে সৎ হওয়া। এতে সন্তানরা চোখের শীতলতা ও হৃদয়ের প্রশান্তি অর্জন করে।
৬) দেশের আফিয়ত: শান্তি, স্থিতিশীলতা, বিপর্যয় ও যুদ্ধ থেকে দেশ মুক্ত থাকা। যদি দেশে নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে কোনো ধরনের সুখ-শান্তি বা ভোগ-বিলাস সম্ভব নয়। সুস্বাস্থ্য, ভালো খাবার, পানীয়ের স্বাদ বা যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ্যও তখন কোনো অর্থ বহন করে না। দেশের আফিয়ত হলো সবচেয়ে বড় ধরনের নিরাপত্তা। যদি সেই দেশ মুসলিম বিশ্বের কিবলা ও উম্মাহর হৃদয় হয়, তাহলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। যেমন, সৌদি আরব—যা দুই পবিত্র হারামের ধারক, ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতার মূল কেন্দ্র।

প্রথম থেকেই দিরিয়্যা (Diriyah) ছিল সৌদি আরবের স্থিতিশীলতার দুর্গ। আজও এই রাষ্ট্র শান্তি, প্রজ্ঞা ও মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছে। এর উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয় পরিচয়কে মজবুতভাবে ধরে রেখেছে। ফলে এই দেশ বিশ্বজুড়ে সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করেছে। অতএব সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের এমন আফিয়ত দান করেছেন।

দুনিয়ার আফিয়তের অন্যতম দিক হলো—আল্লাহ যেন আপনাকে মানুষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন এবং মানুষকেও আপনার ক্ষতি থেকে নিরাপদ রাখেন। আপনি যেন তাদের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন এবং তারাও আপনার সাহায্য ছাড়া চলতে সক্ষম হয়। আল্লাহ যেন তাদের ক্ষতি আপনার থেকে সরিয়ে নেন এবং আপনার ক্ষতিও তাদের থেকে দূরে রাখেন।

আফিয়তের আরেকটি রূপ হলো—একজন মানুষ যেন আল্লাহর কাছে পৌঁছায় অন্যের কোনো অধিকার নষ্ট না করে; এ অবস্থায় যে, সে অন্য কারও রক্ত ঝরায়নি, অন্যের সম্পদ হরণ করেনি এবং তার প্রতি কোনো দাবি বা অভিযোগ কারো নেই। সে যেন সবসময় মুসলিম সমাজের সাথে থাকে ও নিজের দায়িত্ব পালনে অবহেলা না করে।

লজ্জা-ঢাকা থাকা এক ধরনের আফিয়ত, ধনসম্পদও আফিয়তের অংশ। দুনিয়ার সব জিনিসকেই মানুষ একসময় ক্লান্তিকর মনে করে, কিন্তু আফিয়ত কখনও বিরক্তিকর নয়।আফিয়তের গুরুত্ব বোঝার জন্য বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি হাদিসের প্রতি লক্ষ করা যেতে পারে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন, 'হে মানুষ, শত্রুর সঙ্গে সাক্ষাৎ কামনা করো না; বরং আল্লাহর কাছে আফিয়ত চাও। তবে যদি শত্রুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তাহলে ধৈর্য ধরো।' (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৯৬৬) জিহাদ ও শাহাদতের মতো মর্যাদার কাজেও এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যুদ্ধ কামনা না করে আল্লাহর কাছে আফিয়ত চাওয়া উচিত।

একজন ব্যক্তি যদি পুরোনো একটি মাদুরের উপর ঘুমায় ও সুস্থ থাকে, তাহলে তা নরম বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় শোয়ার চেয়ে অনেক উত্তম। এক অসুস্থ মানুষ তার সুস্থতার জন্য তিতা ওষুধ খায়, এমনকি মজাদার খাবারও ছেড়ে দেয় শুধু আফিয়ত পাওয়ার আশায়। আফিয়তই মানুষের জন্য সবচেয়ে সুন্দর পোশাক। এটি জীবনের সত্যিকার সুখ, জীবিত বা মৃত সবাই আফিয়তের প্রত্যাশী। মৃতদের কবর জিয়ারতের সময়ও এই দোয়া করা হয়, 'আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের ও তোমাদের জন্য আফিয়ত কামনা করি।' (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৪৭)

যদি আফিয়ত না থাকে, তাহলে জীবন বিষণ্ন হয়ে যায় ও মনের শান্তি নষ্ট হয়। কোনো জিনিসই তখন আর উপভোগ করা যায় না। অতএব, সংক্ষেপে বলা যায়, আফিয়ত হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন বান্দার জন্য সুরক্ষা। এটি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের এক বিশেষ দান। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, 'আল্লাহর কাছে চাওয়া বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হলো আফিয়তের জন্য প্রার্থনা করা।' (তিরমিজি) হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ক্ষমা ও আফিয়ত দান করুন। দ্বীন, দুনিয়া ও আখেরাতে স্থায়ী সুস্থতা প্রদান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের পরিবার ও সম্পদে আফিয়ত দিন। আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার অনুগ্রহের পরিবর্তন, আফিয়তের বিলুপ্তি, আকস্মিক বিপদ ও আপনার সব রকমের অসন্তুষ্টি থেকে।' আল্লাহ তাআলা বলেন, 'তোমাদের নিকট যে সমস্ত নেয়ামত রয়েছে তা তো আল্লাহর ই নিকট হতে; আবার যখন দুঃখ-দৈন্য তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহ্বান কর।আবার যখন আল্লাহ তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করেন তখন তোমাদের একদল এদের প্রতিপালকের শরিক করে।' (সূরা নাহল, আয়াত: ৫৩-৫৪)

যদি কোনো ব্যক্তি চায় তার আফিয়ত স্থায়ী হোক, তাহলে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। হে আল্লাহর বান্দা, যদি তুমি আফিয়তের স্বাদ উপভোগ করতে চাও, তাহলে তোমার সেই ভাইদের কথা মনে করো, যারা হাসপাতালের সাদা বিছানায় শুয়ে আছে। সেই দরিদ্র, অসহায়, ঋণগ্রস্ত ও অভাবীদের কথা ভাবো, যারা দুশ্চিন্তা, ভয়, উদ্বেগ ও বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

আফিয়ত হলো এমন এক নেয়ামত, যেখানে কোনো দুঃখের ছোঁয়া থাকে না। যে ব্যক্তি এই আফিয়তকে খামখেয়ালি বা পাপাচারে নষ্ট করে, সে হলো বঞ্চিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ব্যয় করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য আফিয়ত ব্যবহার করে, সেই হলো সত্যিকারের সৌভাগ্যবান। হযরত সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা রহ. বলেছেন, 'নেয়ামতের পরিপূর্ণতা হলো—দীর্ঘ জীবন, সুস্থতা, নিরাপত্তা ও আনন্দ।' হযরত মুআয ইবনে কুররাহ রহ. বলেছেন, 'যারা সুস্থ ও অবসরপ্রাপ্ত, তাদের হিসাব-নিকাশ সবচেয়ে কঠিন হবে।'

আল্লাহর বান্দাগণ! আল্লাহকে ভয় করুন ও মনে রাখুন—কোনো কাজ তখনই সম্পূর্ণ হয়, যখন তার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। একান্ত চেষ্টা ও দৃঢ় সংকল্প ছাড়া কোনো বড় কাজ সফল হয় না। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ইচ্ছা, সত্যিকারের আগ্রহ ও আন্তরিক ভালোবাসা।

শুভ মাস রমজান আসছে। এটি একটি বরকতময় মাস, দয়া ও মাগফিরাতের মাস। এটি রোজা, তারাবিহ, কুরআন তিলাওয়াত, দান-সদকা, সৎকর্ম ও কল্যাণের মাস। হযরত উবাদা ইবনে সামিত রা. বলেন,
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের কাছে রমজান মাস এসেছে। এটি একটি বরকতের মাস, যেখানে আল্লাহ তোমাদের ঢেকে রাখেন তাঁর রহমতের চাদরে। তোমাদের পাপ মোচন করেন, দোয়া কবুল করেন ও তোমাদের প্রতিযোগিতা দেখেন। তিনি ফেরেশতাদের কাছে তোমাদের নিয়ে গর্ব করেন। সুতরাং আল্লাহর কাছে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করো। কারণ সে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে হতভাগা, যে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।' (আলমুজামুল কাবির-তাবরানি) অতএব,
হে মুসলমান, চেষ্টা করো, আমল করো ও আনন্দিত হও। আল্লাহর রহমত বিশাল, তাঁর অনুগ্রহ অশেষ। তিনি সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।

অনুবাদ: আবদুল কাইয়ুম শেখ
মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ, পোস্তা, চকবাজার, ঢাকা-১২১১

এমএম/