চবি অধ্যাপকের ওপর ছাত্রীর হামলা: বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:৩৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

 সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলের সামনে দর্শন বিভাগের সম্মানিত প্রফেসর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর ড. মো: কোরবান আলী স্যারের উপর আইন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি ন্যাক্কারজনক হামলা করে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ঘটনা সবার নজরে আসে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব হামলায় জড়িত ছাত্রীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং সনদ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করে।

বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো শহিদুল হক বলেন, "ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক হবে অত্যন্ত সুগভীর ও ভালো সম্পর্ক। ফ্যাসিবাদ এখনো নামে বেনামে বিদ্যমান আছে। কখনো আনসার নামে, কখনো সাধারণ শিক্ষার্থী নামে তাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আরেক জন শিক্ষকের পাশে থাকতে চাই। এমন বিব্রতকর অবস্থার সুষ্ঠু সমাধান চাই।"

বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক মোঃ জিহাদ বলেন, "আমরা কাজ কাজ করছি মূল্যবোধ সংরক্ষণে। আমাদের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো: কোরবান আলী স্যারের ওপর প্রকাশ্যে হামলা ছাত্রীদের মূল্যবোধের চরম অবনতির বহিঃপ্রকাশ। এই হামলাকারী গোষ্ঠীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে না পারলে প্রশাসন ব্যর্থ বলে গণ্য হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শান্তি নিশ্চিতের দাবী জানাচ্ছি। আমাদের দাবি সমূহ হলো:,

১। আফসানা এনায়েত এমির স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিল করতে হবে।

২। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৩। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে অন্যথায় আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।"

বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের উপদেষ্টা, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, "একটু আগে একজন অভিভাবক আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার মেয়েকে বাধ্য করেছে প্রোগ্রামে যাওয়ার জন্য। ছাত্রলীগের মাধ্যমে হলে উঠেছিল। তারমানে এখনো মেয়েদের হলোগুলোতে ছাত্রলীগ সক্রিয়। ছাত্রী হলগুলোতে এখনো ছাত্রলীগের কমিটি সক্রিয়। নৌকা ভাঙ্গায় তাদের হৃদয় ভেঙেছে। এখন কেউ মাইর খেলে, ভিডিও না থাকলে সে কোন ন্যায়বিচার পাবে না। এ কেমন অসভ্যতা! ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়েও কোন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার দুঃসাহস দেখিনি। আমার বাসায়, আতিয়ারের বাসায় হামলা করেছে। কিন্তু, তারা গায়ে হাত তোলার সাহস করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীলরা থাকবে, কনজার্ভেটিভরাও থাকবে। কিন্তু, অবশ্যই বাউন্ডারির মধ্যে থাকতে হবে। শিক্ষকরা হলো রেডলাইন। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর ৩৩ ক্লজ অনুযায়ী যেকোনো কিছু করতে পারে। অথচ, এই দালাল প্রশাসনের এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নাই।

আরএইচ/