ছাত্র-জনতার রোষানলের দায় শেখ হাসিনাকেই বহন করতে হবে: খেলাফত মজলিস
প্রকাশ:
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:৩৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, পতনের ছ’মাস পার হলেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উস্কানি এখনো বন্ধ হয়নি। ছাত্র-জনতার রোষানলের দায় তাকেই বহন করতে হবে। ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতাকে সকল ষড়যন্ত্র ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বুকে লালন করে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। গণ-হত্যাকারীদের বিচারের দাবি আরো জোরালো করতে হবে। যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে, ততদিন আওয়ামীলীগের কোন তৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না। জুলাই সহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুনের সাথে সুষ্পষ্টভাবে জড়িত আওয়ামীলীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শণ করে যাচ্ছে খুনীরা। এদের অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার আর কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। পলাতক খুনীরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। খেলাফত মজলিস জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। ফ্যাসিবাদের বাহক আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনে এই মুহূর্তে যারাই সহযোগীতা করবে জনগণ তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে। সকল গুম ও খুনের বিচার ত্বরান্বিত করতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অভ্যুত্থানের ছ’মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন খুনীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলো। আমরা শেখ হাসিনা সহ সকল পলাতক আসামীকে অবিলম্বে দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ¦ আবু সালেহীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, এডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। হাআমা/ |