পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ, যথাসময়ে হবে বিশ্ব ইজতেমা
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:১৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ১৬০ একর বিশাল ময়দান প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। জানুয়ারি ৩১ ও ১,২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আসন্ন ৫৮তম টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতির এ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। 

এদিকে বিশ্ব ইজতেমা সামনে রেখে পান্ডেল নির্মাণের কাজে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক তাবলিগ জামাতের সাথী-মুসল্লি, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও নানা শ্রেণি পেশার স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আলহামদুলিল্লাহ! এবার দেরিতে হলেও মাঠ প্রস্তুতির কাজ যথাসময়েই সম্পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। 

কাজ দেরিতে শুরু করার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতকরণ কাজ আমাদের অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। মাঝখানে আমাদের যে সমস্ত তাবলীগের সাথী ভাইয়েরা মাঠ প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত ছিলেন, সাদপন্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে যে জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা টঙ্গী ময়দানে দিয়েছিল, তারা সেই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত গভীর রাতে আমাদের প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত সাথীদের ছিল মেরে রক্তাক্ত করে, এতে আমাদের তিনজন সাথী নিহত হন এবং শতাধিক সাথে আহত হন।

‘এরপর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পক্ষ থেকে টঙ্গী মাঠ এবং আশেপাশে ০৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যে কারণে আমাদের মাঠ প্রস্তুতির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ’ –যোগ করেন তিনি

তাবলিগ জামাতের মূলধারার এই মিডিয়া সমন্বয়ক আরও জানান, গত ২রা জানুয়ারি ২০২৫ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হলে আমাদের সাথীরা পুনরায় মাঠ প্রস্তুতির কাজ শুরু করেন।

তাবলিগে জামাতের বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা মাঠে নৃশংস হামলা ও তাদের কার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, সাদপন্থীরা ১লা ডিসেম্বর ২০১৮ ও ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাতে যে নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালায় এরতো অবশ্যই একটা বিচার হওয়া দরকার। বাংলাদেশের শীর্ষস্থান ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকটে দাবি জানানো হয়েছে, তা হলো এর যথোপযুক্ত বিচার হচ্ছে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক। যখন একটা দল কে নিষিদ্ধ করা হবে, তখন তাদের কর্মকান্ড (ইজতেমা) করার কোন প্রশ্নই আসে না। বাংলাদের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম সরকারের সাথে বৈঠক করেও এই দাবি জানায়।

হাআমা/