সংঘর্ষ নয়, অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আওয়ামী দোসর সাদপন্থীরা: হেফাজত
প্রকাশ:
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০২ রাত
নিউজ ডেস্ক |
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুতরত নিরীহ তাবলীগ জমায়েতের ওপর সাদপন্থীদের পরিকল্পিত হামলাকে 'দুই পক্ষের সংঘর্ষ' হিসেবে মিডিয়ায় অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। আজ শুক্রবার সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে যখন আমাদের তাবলীগের সাথী ভাইরা গভীর রাতে তাহাজ্জুত পড়ছিলেন এবং তাদের অনেকেই ঘুমন্ত ছিলেন, ঠিক তখনই চিহ্নিত আওয়ামী দোসর সাদপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করেছে এবং অসংখ্য সাথী ভাইকে আহত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের জোরাল দাবি, অবিলম্বে হামলায় জড়িত সাদপন্থী সকলকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। একইসাথে তাদের আওয়ামী ও ভারতীয় ষড়যন্ত্রমূলক নেটওয়ার্কও ধ্বংস করতে হবে। এছাড়া ভিকটিম পক্ষের সবাইকে আমরা শান্ত থাকার আহ্বান করছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিতর্কিত ভারতীয় আলেম মাওলানা সাদের অনুসারী দাবি করে তাবলীগে বিভাজনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে দ্বীনের মুখোশধারী একদল চিহ্নিত আওয়ামী দোসর। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকেই সাদপন্থীরা আওয়ামী লীগের তাঁবেদারি করে শুধু তাবলীগে বিভাজনই নয়, আলেম-ওলামার বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। বিগত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও তারা ইজতেমা ময়দানে দিনের আলোতে লোহার গেট ভেঙে নিরীহ আলেম-ওলামা ও মাদারাসাছাত্রদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে নৃশংস হামলা চালায়, যার ভিডিও প্রমাণ এখনো রয়েছে। তখনো ১ জন নিহতসহ আহত হন ৩ শতাধিক। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় তখন তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। যদিও তখন থেকে উম্মাহর ঐক্য বিনষ্টকারী এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ শুরু হয়। |