কিশোরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য, প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশ:
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
কিশোরগঞ্জ শহর প্রতিনিধি শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ শাখার অন্যতম ছাত্রনেতা ইকরাম হোসেন, অভি চৌধুরী, শেখ মুদ্দাসসির তুশি, শহিদ তরিকুল ইসলাম রুবেলের বড় ভাই জুয়েল আহমেদ, আফসানা আক্তার মীম অংশ নেন। ইকরাম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে যেভাবে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান কোনো প্রতিবাদ না করায় তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কিশোরগঞ্জের ছাত্র সমাজকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানববন্ধনে অভি চৌধুরী বলেন, এখনো প্রশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। অবিলম্বে তাদের বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যে শহীদ আবু সাঈদ আমাদের ২৪ এর আন্দোলনের প্রেরণা তাকে কটূক্তি করে এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার পরও ডিসি কোনো প্রতিবাদ করেননি। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদের ছবি না দিয়ে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দিতো তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আবু সাঈদ শহীদ হয়েছে, কার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে? কোন দেশের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করেছে? যারা (২৪ এর) আন্দোলন করছে সংগ্রাম করছে। দেশটাকে এক হাত থেকে আরেক হাতে পরিবর্তন করছে। তারা এখন আমাদের শাসন করবে। জেলা প্রশাসকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা যে, আবু সাঈদের ছবি কীভাবে আসছে। বিজয় দিবসের দিনে রাস্তা-ঘাটে সব জায়গায় প্রদর্শিত হচ্ছে। এই বলেই আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ অভিযোগ রয়েছে, তখন মঞ্চে থাকা জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানসহ কেউ কোনো প্রতিবাদ বা আপত্তি করেননি। এছাড়াও ঐদিন জেলা প্রশাসককে দেখা গেছে যারা জুলাই আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে আন্দোলন করেছিল, যে সাংবাদিকরা জুলাই আন্দোলনকে স্বাধীনতা বিরোধী আন্দোলন বলেছিল তাদের সম্মাননা জানাতে। এনএ/ |