রংপুরে রাঙ্গাসহ জাপা-আ.লীগের ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ:
২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
রংপুর ব্যুরো রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পাটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলুসহ আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির ৩৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও ২৫০-২৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে সোমবার গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা ও গঙ্গাচড়া বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট, ছিনতাই এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানিমূলক মামলা দেয়ার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়। তাঁতিদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল বাবু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গার ছেলে জিতু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মতিন অভি, গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু, মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, যুবলীগ নেতা আতাউর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল প্রমুখ। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ১৪ দলীয় মহাজোটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন সময়ে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডসহ রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা দান, বাকস্বাধীনতা খর্ব, দলীয় কার্যালয়ে হামলা, নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানিসহ প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি এবং নানাভাবে দমন-পীড়ন করেছে। এ অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ডাকবাংলো সংলগ্ন বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার সময় উল্লিখিত আসামিরাসহ প্রায় ২৫০-২৬০ হামলা চালায় এবং লুটপাট ছিনতাই করে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল বাবু বলেন, মামলাটি নিয়ে আমি নিজেও চিন্তিত। আমি চাই না কোন নিরপরাধ মানুষ মামলায় হয়রানির শিকার হোক। |