প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
নিউজ ডেস্ক

|| তানবিরুল হক আবিদ ||

মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৯তম মারকাজি ইজতেমায় প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসান রচিত ‘হাসানুল ফতোয়া।’

দীর্ঘ পাঁচ বছর মেহনতের পর অবশেষে প্রকাশিত হচ্ছে তিন খন্ডের ফতোয়া গ্রন্থটি। এতে টিকা, উদ্ধৃতি, সংযুক্তি করেছেন মুফতি আশরাফ আলী। কিতাবের প্রাথমিক প্রচ্ছদ ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।

জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ার সিনিয়র মুফতি আশরাফ আলী আওয়ার ইসলামকে জানান, আসন্ন ২৩ তারিখ হজরতের কিতাব হাসানুল ফতোয়া প্রকাশিত হবে তিন খন্ডে। যার এক তৃতীয়াংশ আরবি এবং দুই তৃতীয়াংশ উর্দু। দীর্ঘ পাঁচ বছর মেহনতের পর হজরতের ফতোয়াগুলো মলাটবদ্ধভাবে আনতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। হজরতের লেখা ডায়েরিগুলো ছিল অনেক পুরনো। যা সবার পক্ষে বোঝা সহজ ছিল না। তাই দুরবুদ্ধ স্থানগুলো বুঝতে হজরতের কাছে বারবার যেতে হয়েছে। যে কারণে সময়টা একটু বেশি লেগেছে। তালিক, তাখরিজ ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষে সম্পাদনার জন্য হজরত-এর কাছে পান্ডুলিপি পেশ করি। হজরত একাধিকবার এ গ্রন্থের সংশোধন ও নজরে সানি করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাসানুল ফতোয়ার ৯০% কাজ সম্পূর্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। প্রাথমিকভাবে ফতোয়া গ্রন্থটি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসা থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

এ সময় তিনি দেশবাসী ও হজরতের শুভাকাঙ্ক্ষীদের ফতোয়া গ্রন্থটির প্রচার-প্রসারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

হাসানুল ফতোয়া’ গ্রন্থটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-

১. অভিনব পদ্ধতিতে বিশেষ তাহকিক ও গবেষণা উপস্থাপন।
২. কোরআন-হাদিস ও ফিকহের সাংঘর্ষিক পূর্ণ বিষয়াবলির সমাধানে গুরুত্ব প্রদান।
৩. সমকালীন উদ্ভূত নিত্যনতুন সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান।
৪. গ্রহণযোগ্য ফতোয়া গ্রন্থের উদ্ধৃতি প্রদান। যা পাঠক মহলের আত্মতৃপ্তির কারণ।
৫. প্রশ্নোত্তর আকারে ফতোয়ার সমাধান।

জানা গেছে, শাইখে যাত্রাবাড়ীর এটিই প্রথম স্বতন্ত্র ফতোয়া গ্রন্থ। এর আগে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলাম মাদানিয়ার ফতোয়া বিভাগ থেকে প্রকাশিত ফতোয়ায়ে মাদানিয়াতে তার একাধিক ফতোয়া ও গবেষণা ছাপা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আল্লামা মাহমুদ হাসান দা.বা. ১৯৬৯ সানে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নিউটাউন জামিয়াতুল উলূম আল ইসলামিয়া থেকে দাওরা হাদিস (মাস্টার্স) সমাপন করেন। ১৯৭০সনের পর একই প্রতিষ্ঠান  থেকে তাহাসুস ফিল ইফতা ও হাদীস সমাপন করেন।

বর্তমানে তিনি মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্বসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

কেএল/