মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ইসলামি সাহিত্য-সাংবাদিকতা জগতের কিংবদন্তি : ধর্ম উপদেষ্টা
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:১৭ রাত
নিউজ ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ( রাহ:') সারাবিশ্বে নন্দিত ও বিরল কৃতিত্বের অধিকারী মুসলিম মনীষীদের অন্যতম। ইসলামি সাহিত্য ও সাংবাদিকতা জগতে একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব।

তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় তাফসীরে 'মা' আরেফুল কোরআন ও ইসলামের মৌলিক বিষয়ে দুস্প্রাপ্য ও উচ্চমার্গীয় কিতাবাদী সহজ - সরজ ও সাবলীল ভাষায় সকলের বোধগম্যরুপে অনুবাদ, প্রকাশ এবং সীরাতচর্চার ধারা প্রবর্তন করে তিনি এ দেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। অধিকন্তু, এ দেশে ইসলামি রাজনীতি ও তাহ্জিব-তামাদ্দুনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান।

আজ (৬ নভেম্বর-২০২৪) বুধবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম পূর্ব গেটে অবস্থিত ইসলামী বইমেলায় 'মাওলানা মুহিউদ্দীন খান: জীবন ও কর্ম' শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।

ড. খালিদ হোসেন আরোও বলেন- আধুনিক বিশ্বের চিন্তার গবেষণা, ইসলামি জাগরণ ও কর্মসাধনার ক্ষেত্রে, কিংবদন্তি মহাপুরুষ, মাসিক মদিনা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান -( রাহ;') অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। একনিষ্ঠ কর্মসাধন ও বহুমুখী কর্মতৎপরতায় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন ব্যক্তি হতে রুপান্তরিত হয়ে উঠেছেন প্রতিষ্ঠানে। দ্বীনি খেদমত, বিশাল কর্মযজ্ঞ ও বহুবিধ কর্মতৎপরতার জন্য তিনি এ দেশের মুসলিম উম্মাহর নিকট স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা মামুন চৌধুরীর যৌথ উপস্থাপনায় উপস্থিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান,'মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ.এর তিন ছেলে মোস্তফা মঈনুদ্দীন খান, মুর্তজা বশিরুদ্দীন খান, আহমদ বদরুদ্দীন খান, মাওলানা আবদুল মালিক চৌধুরী,, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খালেদ সাইফুল্লাহ বখশী, লেখক চঞ্চল মাহমুদ, ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মুফতি আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও আবদুল গাফফার  প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরোও বলেন, ভাষা ও সাহিত্যের জমিদারী মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। আজন্ম প্রতিবাদীর কণ্ঠ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যে অগাধ জ্ঞান, বহুশাস্ত্রের পাণ্ডিত্য  তাকে দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধেয় করে তুলেছে। দীর্ঘ তফসিরে মাঅরিফুল কুরআন, রুমির মসনবি, মাওলানা শিবলি নোমানির আল ফারুক অনুবাদের মাধ্যমে খান বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার নতুন সেতু স্থাপন করেছেন।মপ্রতিবাদী তিনি। অস্থির রাজনীতি তার নিত্য সঙ্গী।

মুহিউদ্দীন ‘খানের রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে’ মন্তব্য করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য আলোচকেরা।

বক্তারা আরোও বলেন, তিনি অতি প্রগতি আর বাম-রামদের কীটনাশক মাওলানা মুহিউদ্দিন খান। সরকার ও বামসুবিধাভোগীরা যখনই দেশ স্বাধীনতা ও ধর্মে আঘাত করেছেন তখনই মুহিউদ্দীন খানের নির্ভীক বক্তৃতা বিবৃতিতে উতপ্ত হয়েছে পল্টনের রাজপথ রাজনীতি। সভাবসুলভ ভদ্র বিনয়ী হাসি খুশির মানুষ হলেও ধর্মীয় সঙ্কট মুহূর্তে তিনি বারবারই গর্জে উঠেন। প্রতিবাদ, প্রতিঘাত দ্রোহ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে প্রজ্ঞাশাসিত জ্ঞানগম্যির কারণেই।

তারা বলেন, আজন্ম প্রতিবাদীর কণ্ঠ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যে অগাধ জ্ঞান, বহুশাস্ত্রের পাণ্ডিত্য  তাকে দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধেয় করে তুলেছে। দীর্ঘ তফসিরে মাঅরিফুল কুরআন, রুমির মসনবি, মাওলানা শিবলি নোমানির আল ফারুক অনুবাদের মাধ্যমে খান বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার নতুন সেতু স্থাপন করেছেন।

বক্তারা আরোও বলেন, শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয় সময়ের ব্যবধানে দেশজুড়েই এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে  ছড়িয়ে পড়েছে মাওলানা খানের কলমের চাষবাস। সাহিত্যের জমিধারী। দেশের সীমানা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় তিনি উজ্জ্বল। তার অনুদিত বিশ্ববিখ্যাত তাফসির, মাঅরিফুল কুরআন বিশ্বময় পঠিত। ভাষা ও সাহিত্যে জমিদারী সম্ভব হয়েছে আশৈশব সাহিত্যবান্ধব পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণেই।’

হাআমা/