‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যমান সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন’
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:৫৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সকল সেক্টর দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত করে। আওয়ামী মাফিয়া সিন্ডিকেটের লুটপাটে চরমভাবে বিধ্বস্ত বিদ্যুৎ খাত। বিগত কিছু দিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে সৃষ্ট সংকট জনগণকে নতুন করে ভোগাচ্ছে। এই সংকট সমাধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে নতুন করে রিফর্ম করতে হবে।

আজ এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর বলেন, বিগত সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে। নসরুল হামিদ বিপুকে তিনি একনাগাড়ে এই মন্ত্রণালয়ে রেখেছেন শেখ পরিবারের লুটপাট অব্যাহত রাখতে। সেই অব্যবস্থাপনার ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। তিনি বলেন, ফ্যাসীবাদের পতনের পর নতুন এক সংকট হাজির হলো, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে। খবর নিয়ে আমরা জানা গেলো, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ ব্ল্যাক আউটের মতো কিছু কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফলে পুরো দেশে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি ও নাশকতাকে আমাদের পৃথক করতে হবে। আমরা মনে করি বিদ্যুৎ খাতকে বিশৃঙ্খল করতে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কিছু অংশ ও কিছু আমলা ইন্ধন যোগাচ্ছে। আমরা সরকারকে বলবো, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিগুলো বিবেচনা করতে হবে। তাদের মধ্যে চলমান সংকটগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে কাজ করুন।

তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একত্রীকরণ করলে হয়তো সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। পল্লী বিদ্যুতে অস্থায়ীভাবে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্বে স্ট্যান্ডরিলিজ কিংবা শাস্তি এবং গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

হাআমা/