ইসলামি বইমেলা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৬ রাত
নিউজ ডেস্ক

|| মুহাম্মদ বেলাল হুসাইন ||

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে আয়োজিত বইমেলায় বাংলাদেশ গতকাল ইসলামি লেখক ফোরামের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘লেখকদের গল্প শুনি’ এই শিরোনামে চমৎকার একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দেয় তরুণ লেখকদের জাতীয় এই সংগঠন। আসরের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে এশার নামাজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। উপস্থিত ছিলেন- কবি মুনিরুল ইসলাম, ঢাকা মেইলের জহির উদ্দীন বাবর, হাবীবুর রহমান মিছবাহ এবং আমিন ইকবালসহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথি ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, বিশেষ অতিথি মাওলানা যুবাইর আহমদ আশরাফ। সঞ্চালনায় ছিলেন আমিন ইকবাল। লেখকদের গল্প বলার বিরতিতে কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় সেরা দশ প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন মেলার প্রতিটি স্টলে গিয়ে বই হাতে নিয়ে দেখেন এবং প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এবারে প্রথম ইসলামি সাহিত্যের মূলধারার পঁচাশিটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ইসলামি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছে রকমারি ও ওয়াফিলাইফ। মেলা সর্ম্পকে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন আওয়ার ইসলামকে বলেন, স্বাধীনভাবে ইসলামি বইমেলা হওয়ার সুবাদে ইসলামি সাহিত্য ব্যাপকভাবে চর্চিত এবং সাধারণ পাঠক এর দ্বারা আরও বেশি ‍উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে এমন একটি বইমেলা যতটুক প্রচার ও আলোচিত হওয়ার কথা, অতটুক হয়নি বলে আমার ধারণা।

মেলাপ্রাঙ্গণের পরিচ্ছন্নতা সারি বাঁধা সুশৃঙ্খল বুকস্টল, বুকস্টলের দৃষ্টিনন্দন ডেকোরেশন সৈৗন্দর্যপ্রিয় যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। মেলার উত্তর-পূর্ব কোণে একটি কফি শপও আছে। পুরো মেলা ঘুরে দেখার পর বাংলা একাডেমির সাংস্কৃতিক মনাদের বইমেলার প্রতি আগ্রহ অবশিষ্ট থাকেনি। প্রথমবার অনুষ্ঠিত ইসলামি বইমেলার সামগ্রিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে এমন একটা ধারণা আমরা নিতেই পারি- আগামী দিনগুলোতে বাংলা একাডেমি আমাদের ফলো করবে।

শেষে বলতে চাই, ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আমরা স্বাধীন ছিলাম না, আমাদের ধর্মও  স্বাধীন  ছিল না। ফ্যাসিস্ট শাসন পতনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এখন আমরা ধর্মের কথা স্বাধীনভাবে উচ্চারণ করতে পারি এবং স্বাধীনভাবে একটি ইসলামি বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা মনে করি, আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমর বলব, স্বাধীন বাংলাদেশে সব ধরণের সংকীর্ণতা পরিহার করে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে নিরপেক্ষভাবে ‍সাংবাদিকতা চর্চা করা উচিত।

এনএ/