আ.লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে রিট দুটি না চালানোর কথা জানান রিটকারী আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আবুল হাসনাত এবং হাসিবুল ইসলাম পৃথক দুটি রিট করেন। 

একটি রিটে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, গণতন্ত্রী দল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

অপর রিটে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আ.লীগ–জাপাসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটআ.লীগ–জাপাসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম কেন নিষিদ্ধ করা হবে না— এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয় রিটে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে ১১ দলকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এই মর্মেও রুল চাওয়া হয় আবেদনে।

রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ওই দলগুলোকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া ১১টি দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয় আবেদনে।

অপর রিটে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ওই ১১টি দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়।

এ ছাড়া দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে ১১টি দলের সংসদ সদস্যদের প্লট বরাদ্দ বাতিল, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির কর ও শুল্ক আদায় এবং পারিশ্রমিক–ভাতাদি ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই বিষয়েও রুল চাওয়া হয় আবেদনে।

এই রিটে আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ১১ টি দলকে বিবাদী করা হয়।

এনএ/