‘ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসরকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না’
প্রকাশ:
২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৪৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনে হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য তুলে ধরে ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব নিয়ে নেতাকর্মীদেরকে কাজ করতে হবে। বিগত ৫৩ বছরে শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতা এবং লুটপাট, অর্থ পাচার, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। ইসলামী অনুশাসনের অনিবার্যতা প্রাণ করে মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ঘুরে ফিরে যেন চাঁদাবাজরা পুনর্বাসিত হতে না পারে সেদিকে ভোটারদের সকর্ত করে গড়ে তেলার কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসরকে ক্ষমতায় কোনভাবেই আসতে দেওয়া যাবে না। যারা ৫ আগস্টের পর জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে, মিল-ফ্যাক্টরীতে ডাকাতি করেছে, চাঁদাবাজি চালাচ্ছে তাদের বিষয়ে জনগণকে সঠিক ম্যাসেজ দিতে হবে। জনগণ পরিবর্তন চায়, শান্তি ও ক্যলাণ চায়। জনগণকে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে হবে। ইসলামী আন্দোলনকে জনগণের সংগঠনে পরিণত করতে হবে। শনিবার রাতে রাজধানীর জুরাইনস্থ বেল্লা পাস্তা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ঢাকা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সকলস্তরের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী ডাঃ মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। ঢাকা- ৪ নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমন্বয়কারী আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং শ্যামপুর থানা সেক্রেটারী মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন ও কদমতলী থানা সেক্রেটারী মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এম হাছিব আর রহমান, কদমতলী থানা সভাপতি মাওলানা ক্বারী মাসুদুর রহমান, শ্যামপুর থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব বেলাল হোসেন আরিফ, আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন, মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান আহমদ খান। প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এটাকে অর্থবহ করতে হবে। ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা যেন কোন চক্রান্ত করে দেশকে অকার্যকর দেশে পরিণত না করতে পারে, সকলকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোর আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরো উৎসাহিত হবে। মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, যানজটমুক্ত নিরাপদ শহর জনগণের প্রত্যাশা। এ জন্য হকারমুক্ত ফুটপাত চাই। হকারদের ভিন্ন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হকারমুক্ত ফুটপাত করে জনগণকে স্বস্তিতে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার গড়ে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। এ কাজগুলোদ্রুত করতে হবে। হাআমা/ |