বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই : ডা. শফিক
প্রকাশ:
১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই- যেখান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সুবিচার কায়েম হবে, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। যার যার ন্যায্য পাওনা হাতে পেয়ে যাবে। যুবকদের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হবে। জাতি গঠনে যুবকরা ভূমিকা পালন করবে। বেকারত্বের অভিশাপে আর একটা যুবককেও আত্মহত্যা করতে হবে না। চাকরি পাওয়ার জন্য কোনো টাকা ঘুষ দিতে হবে না। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলার উজির আলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকরের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আওয়ালের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মতিউর রহমান, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আ. আলীম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আ. হাই, মাওলানা আবু তালিব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এইচএম আবু মুসা, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শৈলকুপা থানা আমির মতিউর রহমান, হরিণাকুণ্ড উপজেলা আমির বাবুল হোসেন, সদর থানা আমির মতিয়ার রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা অলিউর রহমান, কোটচাঁদপুর উপজেলা আমির আজিজুর রহমান, মহেশপুর উপজেলা আমির অধ্যাপক ফারুক আহমেদ প্রমুখ। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শহীদ ইবনুল ইসলাম পারভেজের বাবা মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। ২০১৭ সালের একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি ওই দিন একজন শহীদের বাসায় এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমাকে শহর ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। আমি চোর ছিলাম না, ডাকাত ছিলাম না, কোনো গডফাদারও ছিলাম না। আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক ছিলাম। দুই হাজার ১৭ সালের ঘটনা যদি এই হয়, তাহলে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের কী অবস্থা ছিল- তা আমরা বুঝতে পারি। সোনার বাংলা বানানোর কথা বলে তারা শ্বশান বাংলা বানিয়েছিল। তারা ঘরে ঘরে লাশ আর প্রান্তরে প্রান্তরে ছোপ ছোপ রক্ত উপহার দিয়েছিল। তিনি বলেন, মনে আমাদের অনেক কষ্ট। আমাদের ওপর জুলুমের তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এক এক করে আমাদের শীর্ষস্থানীয় ১১ জন নেতাকে বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বানানো সাক্ষী আর ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। মহান রবের দরবারে আমরা মামলা দায়ের করেছি। জানি না এই জীবনে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারব কি-না। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দেন তাহলে আমাদের মায়েরা থাকবেন মায়ের মর্যাদায়, বোনেরা বোনের মর্যাদায়। তাদের ইজ্জতের ওপর হাত দেওয়ার সাহস কোনো লম্পটের হবে না। সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কার্যকলাপ পালন করতে পারবে। তারা ইজ্জত-সম্মান ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারবে। এইভাবে আমরা বৈষম্যহীন একটা সমাজ গড়তে চাই। তিনি বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। কারা দ্রব্যের দাম বাড়ায় সবাই জানে। সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট বার্তা- সিন্ডিকেট তছনছ করে দেন। জনগণকে স্বস্তি-শান্তি দেওয়ার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুন। জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করুন। জনগণের ৩৬ কোটি হাত আপনাদের সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। |