ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুভেচ্ছায় সিক্ত মুফতি ফয়জুল করীম
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত
নিউজ ডেস্ক

ডিএমএম সেলিম উদ্দিন
ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঝিনাইদহ জেলা শাখা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে দলটির জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে এ শুভেচ্ছা জানান সমন্বয়কেরা।

এ সময় সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর দেশের মানুষ বহুবার রক্ত দিয়েছে, আন্দোলন করেছে কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ কায়েম হয়নি। তাই নিজে পরিবর্তন হয়ে, দেশকে পরিবর্তন করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ভূখণ্ড মুসলমানরা শাসন করেছে। কিন্তু কিছু মুনাফেকদের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সে সময় দিল্লীর ষড়যন্ত্রে ৮০ হাজার মাদরাসা ধ্বংস করা হয়েছে। আলেমদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। হাজার হাজার আলেম হত্যা করা হয়েছে। বৃটিশরা যখন দিল্লী দখল করেছিল, তখন ওলী-আওলিয়ারা আন্দোলন করে এই ভূখণ্ড থেকে তাদের বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু মুসলমানরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু জমিদাররা বিশেষ করে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর চিঠি লিখে বাধা দিয়েছিলেন। তারপরও নবাব স্যার সলিমুল্লাহ রহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলিম লীগ দেখেছি, আওয়ামী লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, বিএনপি দেখেছি। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে দেখিনি। তাই আসুন দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, ঘুষ, দুর্নীতি ও কালো টাকার নির্বাচন বন্ধ করতে হলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন চাই। দেশে যদি কেউ মডারেট ইসলাম কায়েম করতে চায়, সে বেঈমান হয়ে যাবে। দেশে কারো মনগড়া ইসলাম কায়েম করতে দেয়া হবে না। ৫ আগস্টের পর দেশব্যাপী যারা লুটপাট, চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে তাদের প্রত্যাখান করতে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

বক্তব্য শেষে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করেন।

ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আহতদের ক্ষতিপূরণ, দুর্নীতিবাজদের বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, মাওলানা আহমদ আব্দুল জলিল, প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, আলহাজ্ব কারী ওমর আলী,  মুফতী নাজির আহমাদ, আলহাজ্ব মুহাম্মাদ রায়হান উদ্দীন, মুফতী মুহাম্মাদ আলী হুসাইন, মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা নিজাম উদ্দীন মুন্সি, মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন, মাওলানা মিরাজ হুসাইন,  এইচ এম নাঈম মাহমুদ, ডা: এইচ এম মোমতাজুল করীম, শিক্ষাবিদ মাও. হুমায়ুন কবীর প্রমূখ।

এছাড়া সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এনএ/