‘সন্ত্রাস-কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই’
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:৪৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোন ভোট বিফলে যায় না। তিনি বলেন, নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরো উৎসাহিত হবে।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে মাগুরার ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল। বক্তব্য রাখেন, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মশিউর রহমান, সেক্রেটারী হাফেজ মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, মুফতি হাবিবুল্লাহ, আলহাজ নাজমুল হাসান ওয়াদুদ, মাওলানা হাসিবুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা ওসমান গণী সাইফী, চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গণী মুছাপুরী, মাওলানা কাজী ইকরামুল হক,মাওলানা আসাদুজ্জামান, আলহাজ আমান উল্লাহ, মালানা কুতুবউদ্দিন, মাওলানা আলী আহমদ, আবদুস সালাম জারেফ, মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম। সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, বিগত হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই।

সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। তিনি যানজট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পতিত সরকারের প্রেতাত্মা এখনও বিভিন্ন প্রশাসনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কঠোরভাবে বয়কট করতে হবে।

হাআমা/